সিলেটে ১৫ প্রতিষ্ঠানকে নোটিস
সিলেটে অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে অ্যাকশনে নামছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। লাইসেন্সবিহীন ও লাইসেন্স নবায়ন না করা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযানে নামার ঘোষণা দিয়েছে অধিদফতর। এর অংশ হিসেবে সিলেটের ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক রাজিয়া সুলতানা জানান, ট্রাস্কফোর্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সব প্রতিষ্ঠান গত ২৩ আগস্টের মধ্যে লাইসেন্স গ্রহণ ও নবায়নের কথা ছিল। কিন্তু অনেক হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকসহ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স গ্রহণ ও নবায়ন করেনি। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সূত্র জানায়, সিলেট শহরে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী অন্তত অর্ধশত প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেই। স্বাস্থ্যবিভাগের নোটিসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- নগরীর কাজী ইলিয়াস এলাকার রয়েল হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, দরগাগেট এলাকার মহানগর হাসপাতাল ও লাইফ কেয়ার পলিক্লিনিক, লামাবাজারের আয়েশা মেডিকেয়ার, পাঠানটুলার বিএভিএস হাসপাতাল, দক্ষিণ কাজলশাহর গ্রামীণ হাসপাতাল, ওসমানী মেডিকেল রোডের মেডিচেক প্যাথলজি সেন্টার ও সিলেট সিটি ডেন্টাল এক্স-রে, স্টেডিয়াম মার্কেটের পারফেক্ট ডিজিটাল ল্যাব, সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মেডিল্যাব সার্ভিসেস, আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রিকাবীবাজারের সিলেট ডিজিটাল ডেন্টাল এক্স-রে, মেরী স্টোপস ক্লিনিক এবং মধুশহীদ এলাকার গ্রিন লাইফ ব্ল্যাড ব্যাংক।
স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেটের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান জানান, সিলেটে অবৈধভাবে যেখানে সেখানে গড়ে ওঠা হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর তালিকা তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে। এ নিয়ে সিটি করপোরেশন এবং প্রাইভেট মেডিকেল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগের বৈঠক হয়েছে। তালিকা তৈরির পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।