করোনার নতুন স্ট্রেন নিয়ে হইচই পড়ে গেছে বিশ্বে। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে পাঁচটি দেশে নতুন করোনা স্ট্রেনের দেখা মিলেছে। এ ছাড়া বিশ্বের অন্য দেশও আতঙ্কে কাঁপতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় ব্রিটেনের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিমান পরিষেবা স্থগিত করেছে।
ডেইলি মেইলের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ব্রিটেনের পাশাপাশি ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া এবং ইতালিতেও নতুন করোনা স্ট্রেন মিলেছে। ব্রিটেনের এক যাত্রী রোমে এসেছিলেন, যার জেরে ইতালিতেও মেলে এই ভাইরাসের স্ট্রেন। নতুন ভাইরাস সম্পর্কে ফ্রান্সকেও সতর্ক করা হয়েছে। ফ্রান্স জানিয়েছে, খুব সম্ভবত তাঁদের দেশেও করোনার নতুন স্ট্রেন পৌঁছে গিয়েছে। মিউটেশনের জেরে সৃষ্ট নতুন করোনাভাইরাসটিকে আরও সংক্রামক হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে ব্রিটেনে হু হু করে করোনা সংখ্যা বাড়ার পেছনে রয়েছে এই রোগই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন ৭৯ শতাংশ সংক্রামক। জানা গেছে, ব্রিটেনের লন্ডনে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। যার জেরে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রয়েছে ব্রিটেন।
নতুন ধরন নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়-ডব্লিউএইচও : খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিদ্যমান ব্যবস্থাগুলো প্রয়োগ করে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে বলে মনে করে সংস্থাটি। সোমবার সংস্থাটির জরুরি পরিষেবা বিষয়ক প্রধান মাইকেল রায়ান সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, আমরা মহামারীটির এই ধরনের মধ্যে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পয়েন্ট পেয়েছি। তবে এটি নিয়ন্ত্রণে থাকার মধ্যেই পেয়েছি। ‘সুতরাং এই পরিস্থিতিটি সেই অর্থে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়। তবে একে তার নিজস্ব গতিতে ছেড়ে দেওয়া যায় না।’ এর আগে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক ভাইরাসের নতুন রূপটি ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে’ বলে দাবি করেন। যখন ব্রিটিশ কর্মকর্তারা বলছিলেন, ধরনটি মূল স্ট্রেনের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। রায়ান বলেন, বর্তমানে এই ধরন মোকাবিলায় যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে, তা সঠিক পদক্ষেপ। তিনি বলেন, আমরা যা করছি, তা করা দরকার। আমাদের শুধু আরও কিছুটা সচেতনভাবে চলতে হবে। আর তা করলেই এই ভাইরাসটি আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি, তা নিশ্চিত করব।