আগামী ৭ থেকে ১৪ আগস্ট এক সপ্তাহে দেশজুড়ে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়সহ বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে কমপক্ষে এক কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হবে। এ কর্মসূচিতে বয়স্করা অগ্রাধিকার পাবেন। বেশি মানুষকে টিকার সুবিধা দিতে নিবন্ধন না করেও শুধু এনআইডি নিয়ে গিয়েও টিকা নেওয়া যাবে। তবে যাঁদের এনআইডি নেই, তাঁদের জন্যও অন্য ব্যবস্থা রাখা হবে।
গতকাল রবিবার রাজধানীর বিসিপিএস অডিটরিয়ামে ২০২০-২১ সালের প্রথম বর্ষ এমবিবিএস ক্লাস শুরুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজ না পাওয়া ১৫ লাখ ২১ হাজার ৯৪৭ জনের জন্য আজ সোমবার থেকে আবার শুরু হচ্ছে টিকা কার্যক্রম। তবে আজ দেওয়া শুরু হবে ঢাকায়। পরে আগামী ৭ আগস্ট থেকে সারা দেশে টিকা দেওয়া শুরু হবে। এরই মধ্যে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় জাপান সরকারের সহায়তায় দুই দফায় দেশে এসেছে ১০ লাখ ২৬ হাজার ৫২০ ডোজ। এ ছাড়া আগামীকাল মঙ্গলবার আরো ছয় লাখ ডোজ টিকা দেশে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (ইপিআই) মো. শামসুল হক গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত ২৪ জুলাই যে দুই লাখ ৪৫ হাজার টিকা এসেছে, তা এরই মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এই টিকা ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের জেলায় দেওয়া হবে। বাকিগুলো দেশের অন্যান্য জেলায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ক্ষেত্রে যাঁরা যে কেন্দ্র থেকে প্রথম ডোজ নিয়েছেন, ঠিক সেই কেন্দ্রে গিয়েই তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে যাঁরা আগে দ্বিতীয় ডোজের এসএমএস পেয়েছিলেন, তাঁদের আর নতুন এসএমএস লাগবে না, আগের এসএমএস দেখালেই হবে। এ ছাড়া ৭-১৪ আগস্ট পর্যন্ত ইউনিয়ন পর্যায়ে, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি চলবে।
এদিকে গতকাল এক দিনে দেশে টিকা দেওয়া হয়েছে তিন লাখ ছয় হাজার ৩৫০ ডোজ। এর মধ্যে তিন লাখ দুই হাজার ৬৯ জনকে প্রথম ডোজ ও চার হাজার ২৮১ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে এক কোটি ৩৪ লাখ ৫১ হাজার ৮১১ ডোজ।