কমছে না খাওয়া, কমছে না ওজন, কী করবেন

0
682
Spread the love

পছন্দের খাবার দেখলেই লোভ হচ্ছে। ব্যায়াম, ডায়েটের মধ্যেই খেয়ে ফেলছেন পিৎজা, বার্গার কিংবা আইসক্রিম। ব্যস, ভেস্তে যাচ্ছে ওজন কমানোর সব পরিকল্পনা। এতে ওজন তো কমেই না বরং মাঝে মাঝে বেড়েও যায়। মুখরোচক খাবার খাওয়ার লোভ বাঙালির সহজাত। ওজন কমাতে গিয়েও অনেকেই ভালোমন্দ খেয়ে ফেলেন। এতে ওজন কমানোর কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন না। তাই মজার খাবার দেখলে লোভ সামলাতে হবে। কিছু কৌশল জেনে নিন, কি করে খাবার খাওয়ার লোভকে তালাবন্দি করে রাখতে পারবেন।

লোভনীয় খাবারের তালিকা তৈরি করে নিন

কোন কোন খাবার দেখলেই আপনার খেতে ইচ্ছে করে বা মনে মনে সেই খাবার খেতে চান, তার একটা তালিকা তৈরি করে নিন। যখনই কিছু খেতে ইচ্ছে করবে, সেটা নোটবুকে লিখে ফেলুন। মনোবিদরা মনে করেন, অনেক সময় মনের ইচ্ছা লিখে প্রকাশ করলে, সাময়িকভাবে সেটার প্রতি আকর্ষণ কমে যায়। আর নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করুন, যখন ওজন অনেকটা কমে যাবে, তখন এই তালিকা থেকে কিছু খাবার ইচ্ছেমতো খাওয়া যাবে। কিংবা যে দিন ডায়েটের খানিকটা হেরফের করা যায়, সেদিন এই তালিকা থেকে যেকোনো একটা খাবার অল্প পরিমাণে খেতেই পারেন। এতে সপ্তাহের বাকি দিনগুলো আপনারই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধা হবে।

না খেয়ে থাকবেন না

দ্রুত ওজন কমানোর জন্য অনেকেই দুপুরের খাবার বা রাতের খাবার বাদ দিয়ে থাকেন। এতে কিন্তু লাভ কিছু হবে না। বরং পরের বার খাওয়ার সময়ে এমন খিদে পাবে যে আপনি অজান্তেই অনেক বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলবেন। খিদে পেলে অল্প অল্প করে খান। তিন বেলা খাবার না খেয়ে সেটা পাঁচ বেলায় খান। কিন্তু পুষ্টিকর সুষম খাবার খান।

অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন

ডায়েট করার সময়টাতে সাধারণত দুপুর বা রাতের খাবার নিয়ম মেনেই সবাই খেয়ে থাকি। কিন্তু মুশকিল হয়ে যায় বিকাল বা সন্ধ্যা হলেই। তখন নানা রকম খাবার খাওয়ার ইচ্ছে জাগে। অধিকাংশ সময়েই আমরা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ফেলি। তাই বাড়ির জন্য কোনো প্রকার তেলেভাজা খাবার, অস্বাস্থ্যকর খাবার কিনবেন না। তার চেয়ে বরং বাড়িতে কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার বানিয়ে রাখুন। খিদে পেলে খুব কাজে দেবে।

খাওয়ার পর দাঁত মাজুন

অনেকেরই খাওয়ার পর মিষ্টিমুখ করার অভ্যাস আছে। এতে প্রকৃত ডায়েট হয় না এবং ওজনও কমে না। এক্ষেত্রে একটি কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। প্রত্যেক বেলা খাওয়ার পর ব্রাশ করে নিতে পারেন। এর ফলে মস্তিষ্ক বাকি শরীরকে বার্তা পাঠাবে যে এবার আর খাওয়া ঠিক হবে না। তাছাড়া টুথপেস্টে এমন একটা পদার্থ থাকে যা মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে