মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, ‘যদি করোনার দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয় তাহলে কিভাবে কাজ করতে হবে তার একটি প্রাথমিক পরিকল্পনা আমরা করেছি। শীতের সময় অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা বেশি থাকে। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা এবং তাদের দ্রুত চিকিৎসার বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয়বারের করোনা ধাক্কা সামলানোর জন্য ক্লিনিক্যাল দিকগুলো বিশেষজ্ঞরা দেখবেন। যদি রোগের বেশি বিস্তার ঘটে তাহলে আরো কী উদ্যোগ নিতে হবে তা আমাদের বিদ্যমান অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিলিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
দ্বিতীয় পর্যায়ের করোনার ধাক্কা সামলাতে সচেতনতাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। সবাই যাতে মাস্ক পরে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখে—এ বিষয়গুলোর দিকে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, ‘দেশের বাইরে থেকে অনেক লোক দেশে আসছে, এ ব্যাপারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা আছে, তা আরো জোরদার করা হবে। এ ছাড়া পিআইডি, তথ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ মসজিদগুলোর মাধ্যমে মানুষকে আরো সচেতন করা হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হবে। স্বাস্থ্য বিভাগের ইউনিয়ন পর্যন্ত কর্মচারী আছেন, তাঁরা এ বিষয়ে কাজ করবেন। গণমাধ্যমেরও একটা বড় ভূমিকা আছে। আমরা আশা করি বিগত দিনগুলোর মতো করোনা মোকাবেলায় সাংবাদিকরাও তাঁদের ইতিবাচক পদক্ষেপগুলো অব্যাহত রাখবেন।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যমান করোনা ধাক্কা যখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিল তখন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের ধারণক্ষমতা ছিল সাড়ে তিন হাজারের মতো। সেখানে দেড় হাজারের বেশি রোগী আসেনি। এ জন্য আমরা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার সুবিধা দুই হাজারের মতো রেখেছি। তবে যদি পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায় তাহলে আমরা কোয়ারেন্টিন সুবিধা আরো বাড়াব।’
সূত্রঃ কালের কন্ঠ