প্রচণ্ড গরমে সাধারণ মানুষের অবস্থা নাজেহাল। তার উপর আবার এখন বর্ষাকাল। এ মৌসুমে ছোট-বড় সবাই কমবেশি সর্দি-কাশিতে ভোগেন এবং ভুগছেন।
অন্যদিকে আবার বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, করোনার চতুর্থ ঢেউ আসতে চলেছে। এ সময় সাধারণ সর্দি-কাশিকেও অনেকেই করোনা ভেবে ভুল করছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা আর সাধারণ ফ্লু এর উপসর্গগুলো প্রায় একই রকমভাবে প্রথমদিকে প্রকাশ পায়। আর এ কারণেই অনেকেই ভাবেন, তিনি বোধ হয় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে কিছু লক্ষণ আছে যা সাধারণ ফ্লু থেকে করোনার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক।
# চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, সাধারণ সর্দি-কাশি নাকি করোনা বুঝে নেওয়ার উপায়-
সাধারণ ফ্লু এর ক্ষেত্রে ভাইরাস ছড়ায় বাতাসের মাধ্যমে। অন্যদিকে করোনাভাইরাস এমনকি মানুষের সংস্পর্শে এলেও হতে পারে।
সাধারণ ফ্লু কয়েক দিনের মধ্যেই সেরে যায়। আবার এর প্রভাবও খুব একটা গুরুতর রূপ ধারণ করে না। অন্যদিকে কোভিড ১৯ এর প্রভাবে আক্রান্তদের সর্দি-কাশি মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।
সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, জ্বর, শরীর ব্যথার মতো সাধারণ উপসর্গ ফ্লু এর কারণে হয়ে থাকে। এসব লক্ষণ কিন্তু করোনা রোগীদের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে হিসেবে দেখা গেছে।
তবে করোনায় সংক্রমিত হলে আক্রান্তরা স্বাদ ও গন্ধ হারাতে পারেন। এমনটি সাধারণ ফ্লু’র ক্ষেত্রে হয় না। এছাড়া বমি বমি ভাব ও ক্লান্তির লক্ষণও করোনার ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়।
সাধারণ সর্দি-কাশি টের পাওয়ার আরও একটি লক্ষণ হলো ২-৩ দিনের মধ্যে আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে ওঠেন। অন্যদিকে করোনার ক্ষেত্রে ৩-৫ দিন পর্যন্ত সর্দি-কাশিতে ভুগে থাকেন আক্রান্তরা। আবার ১৪ দিন পরেও উপসর্গগুলো দেখা যায়।
তাই সর্দি-কাশি, জ্বর বা গলা ব্যথা হলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়বেন না। বরং ২-৩ দিন সময় দিন। নিজের শরীরকে বোঝার চেষ্টা করুন ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
পাশাপাশি খেয়াল রাখুন গলা ব্যথা, ঠান্ডা লাগা এবং জ্বর ছাড়া করোনার অন্য কোনো উপসর্গগুলো চোখে পড়ছে কি না। ২-৩ দিনের মধ্যে যদি অবস্থার পরিবর্তন না ঘটে তাহলে কোভিড ১৯ পরীক্ষা করুন।
সর্দি-কাশি এড়াতে গরম পানিতে গার্গল করুন। তুলসি পাতা ফুটিয়ে মধু দিয়ে পান করুন। ভেষজ চা পান করার বিকল্প নেই। দিনে অন্তত দুইবার করে গরম ভাঁপ নিন। সবসময় মাস্ক ব্যবহার করুন। অসুস্থ হওয়ার পরপরই আলাদা ঘর, বাথরুম, পোশাক, থালা-বাসন ব্যবহার করুন।