দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে চালু হতে যাচ্ছে রাজশাহীর সদর হাসপাতাল। ২০০৪ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া এই হাসপাতালটি চালুর ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলেন সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। গত ২ ডিসেম্বর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের চিঠিতে এই হাসপাতালটি চালুর কথা জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী সদর হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম পুনরায় চালু করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তাই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি করোনাভাইরাস সংক্রমণসহ যে কোনো মহামারী প্রতিরোধে আগের মতো রাজশাহী সদর হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো। গত নভেম্বরে রাজশাহী সদর হাসপাতাল চালুর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেককে ডিও দেন রাসিক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। এতে মেয়র উল্লেখ করেন, ব্রিটিশরা ১৯০২ সালে সদর হাসপাতালের ভবনটি স্থাপন করে যা এই রাজশাহী শহরে অবস্থিত। সদর হাসপাতালে সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথা ব্যাথা ইত্যাদি ফ্রি চিকিৎসা দেওয়া হতো। ১৯৩৮ সালে সদর হাসপাতাল নামকরণ করা হয়। নামকরণ পরবর্তী সদর হাসপাতালে মেডিসিন, নাক, কান, গলা, হাড় জোড়া ইত্যাদির পাশাপাশি অপারেশন সেবাও পরিচালিত হতো। পরবর্তী এখানে ডেন্টাল ইউনিট স্থাপন করে মেডিসিন, গাইনি ও হাড় জোড় চিকিৎসাসেবা শুরু করা হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ১৯৫৮ সালে স্থাপিত হওয়ার ফলে এই চিকিৎসাগুলো সেখানে স্থানান্তর করা হয়। ২০০৪ সালের দিকে সদর হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নাক, কান, গলা, চোখ এই চিকিৎসাগুলো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুরু হয়। বর্তমানে সদর হাসপাতালে ডেন্টাল ইউনিটের কার্যক্রম চালু আছে। উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ নি¤œমধ্যবিত্ত মানুষ চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। এ অবস্থায় সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে আগের মতো রাজশাহী সদর হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম আবার চালুর অনুরোধ জানান মেয়র।
মেয়রের আহ্বানে সাড়া দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আবারও সদর হাসপাতালটি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, এটি চালু হলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওপর চাপ কমবে। অল্প অসুস্থ মানুষ এখানে সেবা নিতে পারবে। সেবার মানও বাড়বে।