খুলনায় করোনা চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী নেই। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের ঘাটতি। এতে করোনা চিকিৎসায় ভোগান্তি তৈরি হচ্ছে। জানা যায়, খুলনায় প্রধানতঃ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনার সেবা দেওয়া হয়।
করোনার প্রথম দফায় খুলনায় ২৪ জন চিকিৎসক যোগ দেন। কিন্তু চিকিৎসা দিতে গিয়ে অসুস্থতা ও চিকিৎসকদের মধ্যে কয়েকজন গর্ভবতী থাকায় তাদের অনেককে কাজে লাগানো যায়নি। ওই অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসক এনে সেবা চালানো হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, দ্বিতীয় দফায় করোনার রোগী বাড়লে সামাল দেওয়া চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এক্ষেত্রে আরও ৩৫ থেকে ৪০ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হলে ভালোভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে। খুলনায় করোনা চিকিৎসায় সমন্বয়ক ও মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ মো. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, যেহেতু খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিক্যুইড অক্সিজেন প্লান্ট চালু হচ্ছে। এ কারণে করোনা চিকিৎসায় শয্যাসংখ্যা বাড়ানো হবে। যদি গতবারের থেকে রোগী বাড়ে। তাহলে দুই জায়গায় একই চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া কঠিন হবে। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২০ জন চিকিৎসক প্রয়োজন হবে।
এছাড়া সদর হাসপাতালে করোনার আলাদা শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানেও অতিরিক্ত ২০ জন চিকিৎসক প্রয়োজন হবে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর্মীর নিয়োগ দিতে হবে। জানা যায়, হাসপাতালে করোনা সেবায় হাইফ্লো নেজাল ক্যানোলা ও অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকলেও প্রয়োজনীয় ওষুধের ঘাটতি রয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, সরকারিভাবে ওষুধ সরবরাহ করা হলে করোনা চিকিৎসা সেবা সাশ্রয়ী হয়ে আসবে। তবে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানো হলেও এখনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।