রুক্ষ-শুষ্ক চুলে স্টাইল করা বেশ কঠিন। থাকে না কোনো উজ্জ্বলতা। চুলে হাত দিলেই বুঝবেন খসখসে হয়ে গেছে। যত্নের অভাবে বা অন্য কোনো কারণে চুল শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
যেমন হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেইটনার, কার্লিং আয়রন এর নিয়মিত ব্যবহারের কারণে চুল ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে আগা ফেটে যায়, চুল ভেঙে যায় বা চুল রুক্ষ হয়ে যায় সহজেই। তবে ভয়ের কিছু নেই। চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে পারেন কিছু ঘরোয়া উপায়ে। চলুন জেনে নেই।
১.চুলের আগা ছেঁটে ফেলা
আপনার চুল যদি খুব শুষ্ক হয়ে পড়ে অথবা আগা ফেটে যায় তাহলে, চুলের আগা একটু ছেঁটে নেওয়া ভালো। এরপর নিয়মিত চুলের যত্ন নিন।
২.চুলের যত্নে ভিটামিন
আমরা জানি শরীরের জন্য ভিটামিন খুব দরকারি। জানেন কী কিছু ভিটামিন সরাসরি চুলের ওপর প্রভাব ফেলে। হতের নখের জন্যও বেশ কার্যকরী। যেমন ভিটামিন এ, সি এবং বায়োটিন এবং মিনারেল আয়রন। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, বায়োটিন চুলের জন্য খুব বেশি একটা কাজ করে না। বাকি ভিটামিনগুলো খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিতে পারেন।
৩.ওমেগা-৩ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার
সামুদ্রিক প্রোটিন আছে এমন জিনিস খেয়ে দেখতে পারেন। এত আছে ওমেগা-৩ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা চুলের জন্য বেশ ভালো। সামুদ্রিক প্রোটিন চুলকে পাতলা হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। চুলকে আরো উজ্জ্বল করে। সামুদ্রিক মাছে পাবেন প্রচুর ওমেগা-৩। আখরোট, কিডনি বিন, ব্লুববেরি, ব্রকলি এবং টমেটোতে পাবেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটিও আপনার চুল উজ্জ্বল করবে। শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচাবে।
৪. প্রতিদিন চুল ধুবেন না
শ্যাম্পু আপনার চুলের ময়লা, ঘাম দূর করে। তবে প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু লাগালে চুলের ‘সিবাম’নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সিবাম হলো চুলের প্রাকৃতিক তেল যা, চুলকে সুন্দর রাখে। এক দিন পরপর চুল ধোয়া ভালো। যদি আপনার চুল ধুতেই হয় তাহলে, বেবি শ্যাম্পু বা ড্রাই হেয়ারর জন্য তৈরি শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। এতে চুলে থাকা প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হবে না।
৫. তোয়ালে দিয়ে চুল জড়িয়ে রাখুন
চুলের আদ্রতা ধরে রাখেতে, চুল ভেজানোর পর তোয়ালে দিয়ে পেঁচিয়ে রাখুন। বাতাসে চুল শুকানোর পর যদি আপনার মনে হয় চুল শুষ্ক হয়ে গেছে, তবে এই কাজটি করে দেখতে পারেন। অনেক সময় চুল ভেজা রাখবেন না। ভেঁজা চুল বেঁধে রাখবেন না।
৬. নারিকেল তেল
নারিকেল তেল চুলের জন্য বেশ উপকারি আমরা সবাই জানি। নারিকেল তেল চুলে শ্যাম্পু করার আগে এক ঘন্টা বা একদিন রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এতে চুলের শুষ্কতা দূর হবে।
৭. সূর্য এবং চুল
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আপনার চুলের ক্ষতি করে। তেমনি আপনার ত্বকের ক্ষতিও করতে পারে। আপনার যদি শুষ্ক চুল হয়, তবে রোদে কম বের হবেন। বের হতে হলে টুপি বা ওড়না দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। রোদের কারণে চুলের ক্ষতি যদি হয়েই যায়, তাহলে অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। এতে চুল মসৃণ হবে।
৮. ঠান্ডা পানি
শীতের সময় গায়ে গরম পানি ব্যবহার করলেও, চুলে ঠান্ডা বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করবেন। এতে চুল শুষ্ক হবে না। চুল দ্রুত লম্বা হবে।