জরুরি চিকিৎসা পেতেও ভোগান্তি: চমেক

0
738
Spread the love

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দুর্ঘটনায় কবলিতদের চিকিৎসা পেতে লেগে যায় কয়েক ঘণ্টা। এরই মধ্যে রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। এ জাতীয় বেশিরভাগ রোগীই চিকিৎসা পাওয়ার আগেই পরপারে পাড়ি জমান। জানাযায়, সম্প্রতি দুর্ঘটনায় আহত কলিম উদ্দিনকে চমেক হাসপাতালে আনা হলে সেখানে টিকিট কাটা, পুলিশের নির্ধারিত ফরম পূরণ, ট্রলি পাওয়া, ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া, সেখানে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র পাওয়া, ফার্মেসি থেকে ওষুধ আনা এবং ইঞ্জেনকশন-ওষুধ ব্যবহারে নার্সের নাগাল পাওয়া সব মিলিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এরই মধ্যে রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। এভাবে জরুরি বিভাগ থেকে ওয়ার্ডে নিয়ে জরুরি চিকিৎসা পেতে নিত্য বিলম্ব হচ্ছে।

এ নিয়ে ভুক্তভোগী রোগী স্বজনদের অভিযোগ-ক্ষোভের দীর্ঘশ্বাস দীর্ঘদিনের। রোগীর স্বজন জামাল উদ্দিন বলেন, ‘জরুরি বিভাগে আসার পর থেকে ওয়ার্ডে নিয়ে রোগীর চিকিৎসা পেতে প্রায় দুই ঘণ্টা লেগে গেছে। ততক্ষণে রোগীর অবস্থা আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু কি করব। কোনো উপায় তো নেই।’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এ বিষয়টি আরও সহজ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে শুরু করে ওয়ার্ডে আনা পর্যন্ত সময়টুকু গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি। তখন হাসপাতালের কিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে। তবে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে কম সময়ের মধ্যে রোগীর চিকিৎসা দ্রুত নিশ্চিত করা।’ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা, ছুরিকাঘাত ও মারামারির ঘটনায় আহত রোগী আনা হয়। কিন্তু এসব ঘটনার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ।

টিকিট কেটে প্রথমে পুলিশ রোগীর নাম-ঠিকানা জানতে লেগে যায় কিছু সময়। তারপর জরুরি মেডিকেল অফিসার রোগীকে  প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ করেন। সেখানে থাকে রোগীর পড়ন্ত ভিড়। এরপর রোগীকে ওয়ার্ডে ভর্তির পালা। এ সময় ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য আয়া-ওয়ার্ডবয়রা ট্রলি নিয়ে শুরু করেন দর কষাকষি। ট্রলিভেদে দিতে হয় ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। টাকা না দিলে মুমূর্ষু রোগীও বিনাচিকিৎসায় পড়ে থাকার উদাহরণ রয়েছে। তারপর লিফটের জন্য অপেক্ষা। এরপর ওয়ার্ডে পৌঁছানোর পর ইন্টার্ন বা দায়িত্বরত চিকিৎসককে ডাকতে রোগীর স্বজনকে আরেক দফা অপেক্ষা করতে হয়। চিকিৎসক রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থাপত্র দেন। এরপর  হাসপাতালের নিচ বা বাইর থেকে ইঞ্জেকশান-ওষুধ আনতে বেশ সময় লেগে যায়। এরপর ইঞ্জেকশন পুশ করতে নার্সের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এভাবে নানা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চিকিৎসা পেতে হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে