টাইফয়েড জ্বরের কারণ, উপসর্গ প্রতিকার

0
1329
typhoid
typhoid-fever-hl
Spread the love

টাইফয়েড জ্বর হচ্ছে এক প্রকার পানি বাহিত বা দূষিত খাবার অথবা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে ছড়ানো একটি রোগ,

সালমোনেলা টাইফি নামক এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া যা একজন টাইফয়েড আক্রান্ত রোগীর মল/ পায়খানা থেকে পানিতে মিশে পানিকে দুষিত করে, এই দুষিত পানি যদি কারো খাবারে মিশে পেটে যায়, তাহলে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া দিয়ে তার টাইফয়েড হবে,
এমনকি যদি কোনো টাইফয়েড আক্রান্ত রোগী পায়খানার পর ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধৌত না করে, এবং সে নিজ হাতে কারো জন্য খাবার তৈরি করে, তাহলে তার ও টাইফয়েড হতে পারে এই প্রক্রিয়ায় ট্রান্সমিশন কে কে faeco oral rout transmissions বলে ।

#উপসর্গঃ

টাইফয়েড জ্বর হলে এই জ্বর সারাক্ষণ থাকে, এইটা এমন নয় যে, সকালে আসবে বিকালে চলে যাবে, বরং এইটা একটা ধারাবাহিক সময় ব্যাপি থাকে।

#জ্বর সাধারণত ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়

#খাবার রুচি থাকেনা

#মাইল্ড তথা সামান্য পরিমান মাথা ব্যাথা থাকে

#জ্বরের আগে পরে ডায়েরিয়া হতে পারে।

#জ্বরের ৫-৬ দিন পরে শরীরে গোলাপী বর্ণের দাগ দেখা দিতে পারে।

#অত্যাধিক পরিমান দূর্বলতা অনুভব হয়।

#জ্বরের সাথে সাধারণত সর্দি কাশি থাকেনা।

#প্যারাসিটামল খেলে চলে যায়, তবে ঘন্টা দুয়েক পর আবার আসে।

#টাইফয়েড জ্বরে সাধারণত কাপুনি থাকেনা

#প্রতিরোধঃ

#খোলা_পরিবেশের খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকা।

#খাবার আগে ভালোভাবে হাত ধৌত করা।

#রাস্তার আশেপাশের খাবার গ্রহণ না করা , কারণ এইসব খাবারে বেশিরভাগ দূষিত পানি ব্যবহার হয়, যাতে
অনেক মলমূত্র মিশ্রিত থাকে এবং যা সালমোনেলার প্রজনণ কেন্দ্র।

#স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করা।

#টাইফয়েড আক্রান্ত রোগীকে টয়লেট টিস্যু + পানি + সাবান ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া ।

#টাইফয়েড আক্রান্ত রোগী দিয়ে কোনো খাবার পরিবেশন করা থেকে বিরত থাকবে।

#প্রয়োজনে ভেক্সিন নেওয়া ।

#চিকিৎসাঃঃ

জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ খাওয়া,
জ্বর বেশি হলে প্যারাসিটামল জাতীয় সাপজিটরি নেওয়া ,
রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ মত
এন্টিবায়োটিক #সেফিক্সিম #এজিথ্রোমাইসিন
#সেফট্রিয়াক্সন ইত্যাদি জাতীয় ওষুধ মুখে অথবা শিরা পথে ব্যবহার করা।
পানি ও তরল খাবার বেশি গ্রহন করা ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে