থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে যা করণীয়

0
941
Spread the love

থাইরয়েডের সমস্যা থাকলেও অনেকেই গুরুত্ব দেন না। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, সময় মতো চিকিৎসা না করালে ধীরে ধীরে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে করতে পারে। এই রোগে শুধু ওষুধ খেলেই হয় না, যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টিকর খাবারও খেতে হয়। থাইরয়েড যেহেতু হরমোনের ভারসাম্যকে নষ্ট করে, এ কারণে এই সমস্যা থাকলে বেশ কিছু খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত। যেমন-

১. পুষ্টিবিদরা বলছেন, প্যাকেটজাত খাবার বা প্রসেস খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত। যেমন- বিস্কুট, চিপস, মাল্টি গ্রেইন ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রিজারভেটিভ, লবণ ও সোডিয়াম দেওয়া থাকে। থাইরয়েডের ক্ষেত্রে যা খাওয়া একদম উচিত নয়। সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। তাই এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।

২. থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে মাল্টি গ্রেইনের বদলে হোল গ্রেইন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। কারণ হোল গ্রেইনে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, আয়োডিন থাকে,যা থাইরয়েড রোগীদের জন্য জরুরি। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে পাউরুটি, পাস্তা ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত।

৩. শরীরে চর্বি হলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ডে হরমোন তৈরিতে বাধা দেয়। তাই অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড, মাখন, তেলেভাজা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৪. শরীরে আয়োডিন ও প্রোটিন মিশে থাইরয়েড হরমোন তৈরি করে। তাই খাদ্যাভ্যাসে দই, চিজ, বাদাম, ডিম, মাছ, মাংস, ডাল রাখুন। সয়াবিন খাওয়া বাদ দিন। কারণ এতে থাকা আইসোফ্ল্যাভিন থাইরয়েডের ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ হতে পারে।

এছাড়াও থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ফুলকপি, ব্রকলি, বাঁধাকপি খাওয়া বাদ দিতে হবে। এছাড়া মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার, কফি, অ্যালকোহল, কোমল পানীয় পরিহার করতে হবে। পাশাপাশি অবশ্যই প্রতিদিন নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে