দেড় মাস হলেই নবজাতককে টিকা দিন

0
179
Spread the love

সাধারণত শিশুর জন্মের প্রথম দিন থেকে ২৮তম দিন পর্যন্ত সময়কালকে বলা হয় নবজাতক শিশু। কিছু নির্দিষ্ট ছোটখাটো সহজ নিয়ম-কানুন মেনে চলতে পারলেই নবজাতক শিশুকে সুস্থ রাখা সম্ভব। নবজাতক শিশুর যত্নগুলো খুবই ছোট ছোট অথচ দারুণ কার্যকর, যদি সেগুলো সঠিকভাবে মেনে চলা যায়। যেমন—

♦ প্রথম ও প্রাথমিক পরিচর্যা হলো একটি নবজাতক বাচ্চাকে উষ্ণ রাখা।

এমনভাবে উষ্ণ রাখতে হবে যে নবজাতক শিশুটি যেন অতিরিক্ত গরমে ঘেমে না যায়, আবার ঠাণ্ডাও না লেগে যায়।

♦ বাচ্চাটি প্রস্রাব-পায়খানা করলে সঙ্গে সঙ্গে তার কাপড় পরিবর্তন করে দিতে হবে। শিশুদের ডায়াপার পরানোতে কোনো সমস্যা নেই, বরং নবজাতক শিশুটি তাতে আরামেই থাকবে। এর ফলে শিশুটির জামাকাপড় বা বিছানা ভিজে যাওয়ার এবং ঠাণ্ডা লাগার আশঙ্কাও কম থাকে।

তবে কিছু ক্ষেত্রে ডায়াপারে র‌্যাশ বা অ্যালার্জি হতে পারে।

♦ এর পরের যত্নআত্তি প্রতি ঘণ্টায় তাকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে বা যখনই শিশুটি দুধ খেতে চাইবে তখনই তাকে চাহিদামতো বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। ছয় মাস বয়স পর্যন্ত সে শুধু বুকের দুধই খাবে।

♦ জন্মের পরপরই সব নবজাতক শিশুর কমবেশি ফিজিওলজিক্যাল জন্ডিস হয়ে থাকে এবং সেটা সাধারণত দুই-তিন সপ্তাহ পর এমনিতেই চলে যায়।

এ জন্য নবজাতক শিশুকে দৈনিক আধাঘণ্টা করে রোদে রাখতে হবে টানা তিন সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত। তাতে সে ভিটামিন ডি পাবে এবং ভিটামিন ডি ঘাটতিজনিত রোগ থেকে মুক্তি পাবে। পাশাপাশি তার জন্ডিসের প্রকোপটাও কমে আসবে।

♦ নবজাতককে জন্মের পরদিন থেকে প্রতিদিন দুপুরে হালকা গরম পানি দিয়ে সারা শরীর মুছতে হবে এবং নাভি পড়ে না যাওয়া অবধি এ কাজটা অব্যাহত রাখতে হবে। অবশ্য যেদিন নাভি পড়ে যাবে তার পরদিন থেকেই গোসল করিয়ে দেওয়া যেতে পারে।

♦ বাচ্চার গায়ে কোনো কিছু লাগানো বা মাখানো উচিত নয়। যেমন—তেল, সাবান, কাজল, লোশন, শ্যাম্পু, ভ্যাসলিন, ক্রিম, পাউডার ইত্যাদি। তাতে নবজাতক শিশুটির গায়ে অ্যালার্জি বা স্কিন ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে।

♦ দেড় মাস বয়স হলেই নিয়মিত টিকাদান শুরু করতে হবে। এ সময় থেকেই জীবনরক্ষাকারী ১০টা টিকা দেওয়া হয়। তবে ভয়ের কিছু নেই, একটি সিরিঞ্জের ভেতরে পাঁচটি টিকা সংযুক্ত থাকে, যেটা একসঙ্গেই দেওয়া হয়।

♦ বাচ্চার ত্বক বেশি হলুদ মনে হলে, প্রস্রাব হলুদ রঙের হলে অবশ্যই শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা উত্তম। নবজাতক বাচ্চার বয়স দুই সপ্তাহ পার হলেই রুটিন চেকআপ করিয়ে নেওয়া শ্রেয়।

পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. এহসানুল কবীর
ডিরেক্টর, ডক্টরস পয়েন্ট স্পেশালাইজড হসপিটাল, খুলনা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে