স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের গবেষণা প্রতিবেদন
‘দেশে এক বছরে চিকিৎসা খাতে ব্যয় হয় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে চিকিৎসক, প্যাথলজি, হাসপাতাল, ওষুধের ব্যয় প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা। সরকারিভাবে ওষুধ বিক্রির উদ্যোগ নিলে এ চিকিৎসা খরচ ৭০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।’
খুলনায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আয়োজনে কর্মশালায় গতকাল এ সব কথা বলা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহাদৎ হোসেন মাহমুদ। কর্মশালায় উত্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরে চিকিৎসা খাতে মোট ব্যয়ের প্রায় ৪৭ শতাংশ ফার্মেসি-চেম্বারে ওষুধ ক্রয় বাবদ খরচ হয়। এ ছাড়া হাসপাতালে ১৪ শতাংশ, প্যাথলজি ৬ শতাংশ ও প্রচারণা খাতে ৪ শতাংশ খরচ হয়। মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ২৩ শতাংশ, উন্নয়ন সংস্থা ৭ শতাংশ, ইন্স্যুরেন্স ২ শতাংশ ও বাকি ৬৭ ভাগ টাকা দিতে হয় সাধারণ মানুষকে। সরকার এই ব্যয় কমিয়ে আনার জন্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান। স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের গবেষক ডা. সুব্রত পাল বলেন, কোম্পানিগুলো যথেষ্ট লাভে তাদের ওষুধ বাজারে বিক্রি করে। এর মধ্যে উৎপাদন খরচ বাদে তাদের লভ্যাংশ, ওষুধ বিক্রি প্রতিনিধি, ফার্মেসি ব্যয়, কমিশনসহ নানা খরচ থাকে। সরকার কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে সরাসরি ওষুধ ক্রয় করলে ১০ টাকা মূল্যের ওষুধ গড়ে ৬ টাকায় কিনতে পারে। স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের উপ-পরিচালক ফাতেমা জোহরা বলেন, ২০১৫ সালের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে গবেষণায় দেখা গেছে চিকিৎসা খাতে ওষুধ ক্রয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে। কোন রোগে কত টাকা ব্যয় হচ্ছে, কোন বয়সের রোগী বা কাদের জন্য বেশি ব্যয় হচ্ছে গবেষণায় তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
যাতে এ তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা ব্যয় কমাতে সরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা যায়। কর্মশালায় খুলনা বিভাগের সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা অংশ নেয়।