নেট আসক্তি ও জীবন যাপনে অনিয়মের কারণে পুরুষের গোপন রোগ বেড়েছে। হতাশাগ্রস্ত ও দুশ্চিন্তা যাদের গ্রাস করেছে তাদের এই সমস্যা প্রকট।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্বক, যৌন, সেক্স ও অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ এবং কসমেটিক সার্জন ডা. এ কে এম মাহমুদুল হক খায়ের।
পুরুষের অক্ষমতা বা দুর্বলতা বর্তমানে প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমতো হতাশ। ফলে অভিভাবকরা বেশ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। এর মধ্যে অন্যতম পুরুষত্বহীনতা।
প্রকৃত অর্থে এটি পুরুষের যৌনকার্যে অক্ষমতাকেই বোঝায়। মূলত পুরুষত্বহীনতা তিন ধরনের।
১. ইরেকশন ফেইলিউর অর্থাৎ লিঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা।
২. পেনিট্রেশন ফেইলিউর অর্থাৎ লিঙ্গে যোনিদ্বার ছেদনে ব্যর্থতা,
৩. প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন অর্থাৎ সহবাসে দ্রুত বীর্য স্খলন বা স্থায়িত্বের অভাব।
এ সমস্যাগুলো হওয়ার কারণ হচ্ছে-বয়সের পার্থক্য, সঙ্গীকে অপছন্দ (দেহ-সৌষ্ঠর, ত্বক ও মুখশ্রী), দুশ্চিন্তা, টেনশন ও অবসাদ, ডায়াবেটিস, যৌনবাহিত রোগ, রক্তে সেক্স-হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, যৌন রোগ বা এইডস ভীতি, নারীর ত্রুটিপূর্ণ যৌনাসন ও সেক্স-এডুকেশনের অভাব।
অনেকে হাতুড়ে ডাক্তারের খপ্পরে পড়ে বা স্বেচ্ছায় বিভিন্ন হরমোন ইনজেকশন নেয় বা ভুয়া ওষুধ সেবন করে। এটি মোটেই কাম্য নয়। পুরুষত্বহীনতার অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্চনীয়। সঠিক চিকিৎসা নিলে এ থেকে পরিত্রাণ মেলে।