বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে বর্ষাকালে রোগের পরিমাণ বেড়ে যায়। বিশুদ্ধ পানির অভাব, মশার উপদ্রবসহ নানা কারণে এসময় বাড়তে থাকে ঠাণ্ডা,জ্বর,ফ্লু,পেট খারাপের আশঙ্কা। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এজন্য প্রয়োজন কিছু বিষয় মেনে চলা।
রোগ প্রতিরোধক খাবার:
টাইপ টু ডায়াবেটিস যাদের আছে তাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা এমনিতে কম থাকে। এজন্য এমন কিছু খাবার খেতে হবে যার ফলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে। প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার অবশ্যই খেতে হবে।
ত্বক শুকনো রাখা ও আরামদায়ক জুতা পরা:
ডায়াবেটিস থাকেলে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। হাইজিনের বিষয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। পায়ে যেনো কোন ইনফেকশন না হয় সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। আরামদায়ক এমন জুতা পরতে হবে যার ফলে পা শুকনো ও পরিষ্কার থাকে।
খাবারের বিষয়ে সচেতন হওয়া:
এসময় বাইরের খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। বর্ষাকালে ভাজাপোড়া খেতে খুব ভালো লাগলেও তা শরীরের জন্য একেবারে ভালো না এজন্য খাওয়া দাওয়া বুঝে শুনে করতে হবে।
বাইরে ব্যায়াম না করা:
একে তো বর্ষা তারপর আবার করোনাকাল সবমিলিয়ে এসময় বাইরে ব্যায়াম করা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এজন্য ঘরে বসে ইয়োগা,কার্ডিও করা যেতে পারে।
বিশুদ্ধ পানি পান:
বর্ষাকালে বেশিরভাগ রোগ হয় পানিবাহিত। এসময়ে বিশুদ্ধ পানি পান করার বিষয়ে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদেরও সব সময় সতর্ক হতে হবে পানির বিষয়ে। এছাড়া কিডনি সুস্থ রাখার জন্যও বিশুদ্ধ পানি পান করা প্রয়োজন।
কয়েকবার খাওয়া:
একবারে বেশি না খেয়ে দিনের মধ্যে কয়েকবার অল্প অল্প করে খেতে হবে। খাবার যেনো ফাইবার সম্পন্ন হয় সে বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। যতটা সম্ভব চিনিযুক্ত ও বাইরের রিফাইন্ড খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
ফল ও শাকসবজি ধুয়ে খাওয়া:
বর্ষাকালে ভাইরাস,ব্যাকটেরিয়া,ফাঙ্গাসের আশঙ্কা অনেকগুণে বেড়ে যায়। আর এসব জীবাণু আসে ফল ও শাক-সবজির মাধ্যমে। এজন্য বাইরে থেকে ফল ও সবজি এনে ভালো করে ধুয়ে নিন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা:
করোনায় যেহেতু পুরো বিশ্ব বিপর্যস্ত এজন্য যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বাড়ির বাইরে বের হলেই মুখে মাস্ক পরতে হবে,কিছুক্ষণ পরপর হাত স্যানিটাইজ করতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।