শরীরচর্চা থেকে সৌন্দর্যরক্ষা,সব কিছুতেই কার্যকর অ্যাপল সিডার ভিনেগার। নিয়মিত এটি লাগালে ত্বকে বলিরেখা দেখা যায় না। ত্বকের পিএইচ লেভেল ঠিক রাখতেও সাহায্য করে এই ভিনেগার। এ ছাড়া,অ্যাপল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করলে ব্রণের প্রকোপ কমে যায়। তবে এই ভিনেগার অ্যাসিডিক, তাই সরাসরি মুখে লাগানো উচিত নয়। পানির সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলেই উপকার মিলবে।
ব্রণের সমস্যা কমাতে যেভাবে ব্যবহার করবেন অ্যাপল সিডার ভিনেগার-
১.২ টেবিল চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগারের সঙ্গে ২ কাপ পানি আর ১ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি একটি স্প্রে বোতলে ভরে মুখ এবং গলায় স্প্রে করুন। টোনার স্প্রে করার সময় অবশ্যই চোখ বন্ধ রাখুন। শুষ্ক ত্বকে এই টোনার ব্যবহার করবেন না। অ্যালোভেরা ব্রণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই টোনার কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় এবং ত্বক সুস্থ রাখে।
২.দুই টেবিল চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগারের সঙ্গে ৩ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় এই প্যাক লাগান। ২০ মিনিট রাখার পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। তারপর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। বেকিং সোডা ব্রণ শুকাতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
বেকিং সোডা সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয়। সংবেদনশীল ত্বকে এটি ব্যবহার না করাই ভালো। আর, এটি ব্যবহারের পর যদি ত্বকে চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া হয়, তাহলে ব্যবহার না করাই ভালো।
৩. গ্রিন টি বানিয়ে ছেঁকে নিন। একটু ঠান্ডা হতে দিন। তারপর এতে ১ চা চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার, ১ চা চামচ মধু, ৫ চা চামচ চিনি এবং আধ কাপ পানি ভালো ভাবে মেশান। পুরো মুখে এই প্যাকটি লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। তারপর প্যাকটি শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস প্যাক ত্বককে সুস্থ রাখে এবং ব্রণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৪. ২ টেবিল চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগারের সঙ্গে এক কাপ ফিল্টার করা পানি মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে নিন। এতে তুলা ভিজিয়ে সরাসরি ব্রণের উপর লাগান। পুরো মুখে লাগাবেন না। সারা রাত এভাবেই রেখে দিন। পরদিন সকালে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৫. দুই কাপ পানির সঙ্গে ৪ টেবিল চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে ফোটান কিছুক্ষণ। তারপর একটি বাটিতে এই মিশ্রণের সঙ্গে ২-৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে স্টিম নিন। স্টিম নেওয়ার সময় অবশ্যই মাথার উপর থেকে তোয়ালে ঢাকা দেবেন। স্টিম ত্বকের ছিদ্র খুলে দেয়। ত্বকের অতিরিক্ত তেল, ময়লা পরিষ্কার করে। মুখে স্টিম নেওয়ার সময় চোখ বন্ধ রাখুন।
