মানব দেহে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি রয়েছে কি না, তা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জানাতে পারবে, এমন একটি ৩ডি প্রিন্টেড টেস্ট চিপ নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছেন কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির এক দল গবেষক।
সাইটেকডেইলির প্রতিবেদন বলছে, অ্যান্টিবডি বের করার পাশাপাশি কোনো ব্যক্তি নতুন টিকার নেওয়ার পর কতোটা রোগ প্রতিরোধী হবেন তাও জানাতে পারবে এই চিপ।
সম্প্রতি অ্যাডভান্সড ম্যাটিরিয়াল জার্নালে প্রকাশ পেয়েছে এই গবেষণার ফলাফল। গবেষণায় কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটিকে সহায়তা করেছে ইউনিভার্সিটি অফ পিটসবার্গ এবং ইউপিএমসি।
পরীক্ষার প্ল্যাটফর্মটি ছোট এক বিন্দু রক্তে (প্রায় পাঁচ মাইক্রোলিটার) এস১ প্রোটিন এবং রিসেপটর বাইন্ডিং ডোমেইন (আরবিডি) এই দুই অ্যান্টিবডির উপস্থিতি শনাক্ত করতে সক্ষম। শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি অনেক কম হলেও তা, শনাক্ত করতে পারবে ৩ডি প্রিন্টেড টেস্ট চিপটি।
ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যান্টিবডি শনাক্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল স্মার্টফোনে দেখায় পরীক্ষার ডিভাইসটি।
কার্নেগি মেলনের যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাহুল পানাত বলেছেন, “আমরা ডিভাইসটি বানাতে উন্নত উপাদান এবং ন্যানোপার্টিকল ৩ডি প্রিন্টিংয়ের মতো উৎপাদনকে কাজে লাগিয়েছি, যা দ্রুত কোভিড-১৯ এর অ্যান্টিবডি শনাক্ত করতে পারে।”
গবেষকদের দাবি, এই পরীক্ষায় ত্রুটির হার খুবই কম কারণ, এই ডিভাইসে যে অ্যান্টিবডি এবং অ্যান্টিজেন ব্যবহার করা হয়েছে তা অধিক মাত্রায় বাছাইকৃত। প্রাকৃতিক এই নকশাকে সুবিধা হিসেবে কাজে লাগাতে পেরেছেন গবেষকরা।
পানাত বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারীর জরুরি সময়ে এই ফলাফল সামনে এসেছে। “কারণ আমাদের কৌশল টিকার প্রভাবে রোগ প্রতিরোধের হার বের করতে পারবে, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে খবুই প্রাসঙ্গিক।”
এই গবেষণায় ইউপিএমসি হিলম্যান ক্যান্সার সেন্টারের ক্যান্সার ভাইরোলজি প্রকল্প প্রধান শৌ-জিয়াং গাও এবং পানাতের অ্যাডভান্সড ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ল্যাবের গবেষক আজহার আলির সঙ্গে কাজ করেছেন পানাত।