লবণ শরীরের জন্য অত্যন্ত দরকারি হলেও অতিরিক্ত লবণ স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। লবণকে নীরব ঘাতকও বলা হয়। দেখা গেছে, যারা লবণ কম খায়, তাদের ৮০ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপ নেই। তাই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি লবণ গ্রহণ করা ঠিক নয়। লবণের কারণে শারীরিক ক্ষতি হলে সেটি তাৎক্ষণিকভাবে টের পাওয়া যায় না। দীর্ঘ মেয়াদে নীরবে ক্ষতি করে যায়। তাই বলে খাবার থেকে লবণ একেবারে বাদ দেওয়া যাবে না। কারণ লবণের অভাবে রক্তচাপ কমে যাওয়া, মাথা ঘোরা ছাড়াও নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে, যেন চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত লবণ খাওয়া না হয়।
লবণ গ্রহণের পরিমাণ
স্বাস্থ্যঝুঁকি
* প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির রোগ, পক্ষাঘাত, অন্ধত্বসহ নানা জটিল অসুখ হতে পারে।
* ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তি কমে যায় বা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
* কখনো হাত ও পায়ে পানি জমে, শরীরে ফোলা ভাব হয়।
করণীয়
* অনেক ফলেই মানুষ সামান্য লবণ মিশিয়ে খায়। এতে তেমন সমস্যা নেই। কিন্তু শরীরে অন্য সমস্যা থাকলে সাবধান হতে হবে। যেমন—প্রেশারের সমস্যা থাকলে লবণ খাওয়া উচিত নয়। কারণ লবণ খেলে ব্লাড প্রেশার বাড়ে। একইভাবে হার্টের সমস্যা থাকলে লবণ এড়িয়ে চলা ভালো।
* বিট লবণ সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলুন। দীর্ঘদিন ধরে বিট লবণ খেলে হতে পারে ফ্লুরোসিস রোগ। ফ্লুরোসিসের কারণে দাঁতের বাইরের অংশ অর্থাৎ এনামেলে অসংখ্য ছিদ্রের সৃষ্টি হয় এবং দাঁতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে। ফ্লুরোসিসে আক্রান্ত দাঁত বিবর্ণ হয়ে যায়। শিশুরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।
* প্রতিদিন রান্নায় যে লবণ ব্যবহার করা হয় তাতেই দেহের চাহিদা মেটে। পাতে বাড়তি লবণ একদম নয়। খাবার টেবিলেও কোনো লবণদানি রাখবেন না। চিপস, সস, চিজ, স্ন্যাকসজাতীয় খাবারে লবণ বেশি থাকে। তাই স্ন্যাকস হিসেবে কম লবণযুক্ত খাবার বেছে নিন।