শিশুর সুস্থতা ও উচ্চতা বৃদ্ধিতে করণীয়

0
165
Spread the love

প্রতিটি শিশুর দৈহিক ও মানসিক বিকাশের সঙ্গে ডায়েটের সম্পর্ক আছে। তাদের খাবারের মেন্যু সাজাতে হবে সুষম খাবার দিয়ে।

খাবারের মেন্যু ও রুটিন যেমন হবে—

* খাবার পরিবেশনে বৈচিত্র্য রাখতে হবে। শিশুকে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে ঘরোয়া খাবারে।

একই রেসিপি বারবার অনুসরণ না করে ভিন্নতা আনতে হবে।

* শিশুর ক্ষুধা লাগলে তবেই খেতে বলুন। বাসায় সবাই মিলে সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন। ঘরের খাবারের মধ্যে মাছের পদকে প্রাধান্য দিন।

সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন শিশুকে সামুদ্রিক মাছ খেতে দেওয়া উচিত।

* খাবারের মেন্যুতে আয়রন জাতীয় খাবার রাখা উচিত। যেমন—মাংস, ডিম, দুধ, বিচি জাতীয় খাবার, বাদাম, পালংশাক, বিট, আনার, খেজুর, কিশমিশ ইত্যাদি। আর অবশ্যই আয়রন জাতীয় খাবার খাওয়ানোর পর এক টুকরা লেবু দেবেন শিশুকে।

কমলার রস বা মাল্টার রসও দিতে পারেন, এতে আয়রন ভালোভাবে শোষিত হবে।

* শিশুকে জিংক জাতীয় খাবার খেতে দিন। যেমন—সব ধরনের বাদাম, বিচি ও ডাল জাতীয় খাবার।

* এলার্জি হতে পারে এমন খাবার বাদ দিতে হবে। একেকটি শিশুর একেক ধরনের খাবারে প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

এই প্রতিক্রিয়াই হলো অ্যালার্জি। শুধু গায়ে র‌্যাশ ওঠা বা চুলকানি অ্যালার্জি নয়। খাবার খেলে যদি পেট ব্যথা করে, পায়খানায় সমস্যা হয়, গ্যাস হয় আবার র‌্যাশ বা চুলকানি হয়, তবে সেগুলোও অ্যালার্জির অন্তর্ভুক্ত।

* শিশুকে দিনে দুই থেকে তিনবার ফল খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে হবে। শিশু  যেন প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ, একটা ডিম এবং ডাল বা বাদাম জাতীয় খাবার গ্রহণ করে, সেদিকে লক্ষ রাখা উচিত।

* গাজর, মিষ্টি আলু, টমেটো এ ধরনের ফল বা অন্যান্য শক্ত ফলও ফিঙ্গার ফুড হিসেবে শিশুকে খাওয়ানো শেখাতে হবে।

* সপ্তাহে একদিন শিশুর পছন্দের মেন্যু রান্না করুন। তবে মনে রাখবেন, বাইরের মতো জাংকফুড বাসায় তৈরি করলেও সেটা পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত হবে না।

* বাইরের খাবার খাওয়ার ব্যাপারে রুটিন করে দিন। সপ্তাহে এক দিনের বেশি বাইরে না খাওয়ানোই ভালো।

ডায়েটের বাইরে যা মানবেন

প্রতি মাসে শিশুর ওজন ও উচ্চতা মেপে দেখুন। বয়স দুই বছরের চেয়ে বেশি হলে প্রতি তিন থেকে ছয় মাস পর পর কৃমির ওষুধ খেতে দিন। পুরো পরিবারকে একসঙ্গে কৃমির ওষুধ খেতে হবে। প্রতিদিন বিকেলে এক থেকে দুই ঘণ্টা দৌড়াদৌড়ি করে খেলাধুলা করতে দিন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টার ভেতরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রোদে থাকতে বলুন। প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত পানি পান করার দিকে লক্ষ রাখুন।

পরামর্শ দিয়েছেন

ফাতিমা তুজ জুহুরা

নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েট কনসালট্যান্ট

মেরিন হেলথকেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার

খিলক্ষেত, ঢাকা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে