মেডিকেল ইমার্জেন্সি : শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট এর উপরে উঠে যায়, বমি বমি ভাব বা বমি হয়, মাথা ঝিম ঝিম করতে পারে, শরীরের ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, শ্বাসকষ্ট থেকে একটা পর্যায়ে রোগী অচেতন হয়ে যায় অথবা খিঁচুনি হয়- এসব উপসর্গ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। যদি সম্ভব হয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়টুকুর মধ্যে রোগীকে ছায়াযুক্ত শীতল স্থানে নিতে হবে। বরফ থাকলে রোগীর ঘাড়, পিঠ ও বগলে রাখতে হবে। টাইট জামা-কাপড় পরিধান করলে তা ঢিলা করে দিতে হবে।
পরামর্শ : এসব ক্ষেত্রে প্রতিকার নয়, প্রতিরোধ সবচেয়ে উত্তম পন্থা। তাই সচেতন হতে হবে। যেহেতু এখন তীব্র তাপদাহ চলছে তাই বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে যাবেন না। প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করুন। সারাদিনে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৪ গ্লাস পানি পান করুন।
প্রয়োজনে মাত্রা অনুযায়ী পানির সাথে সাথে ওরস্যালাইন খাবেন। কারণ ঘামের সাথে শরীর থেকে পানি ও লবন বেরিয়ে যায় তাই ওরস্যালাইন খেলে শরীরের ভারসাম্য রক্ষা হয়, পানিশূন্যতা দূর হয়। এছাড়া এই গরমের সময় পানি কম খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া করতে পারে। এমনকি ইউরিনে ইনফেকশনও হতে পারে। যারা বয়স্ক মানুষ আছেন তারা যদি আগে থেকেই বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হন। যাদের ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন রয়েছে তারা খুব ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারেন। বেশি করে ফলের রস, সবজি খেতে হবে। আপনি যে পানিটা পান করছেন সে পানিটা নিরাপদ কিনা তা আগে নিশ্চিত করুন কারণ অনিরাপদ পানি পান করলে পেটের পীড়ার সহ ডায়রিয়া হতে পারে। খাওয়ার আগে আর পরে হাত ভালো করে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। খাবারের পরিবেশন ও সংরক্ষণ সঠিক উপায় করতে হবে যেন খাবারের গুণগত মান ঠিক থাকে। খেয়াল রাখতে হবে কোনভাবেই পচা-বাসি খাবার খাওয়া যাবে না।
লেখক :
ডা. আয়শা আক্তার
উপ-পরিচালক, ২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতাল, শ্যামলী, ঢাকা।