অতিরিক্ত ভিটামিন সি এর প্রভাব

0
1243
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গিয়ে ভিটামিন সি বেশি মাত্রায় গ্রহণ করাও ভালো নয়।

করোনাভাইরাসের প্রকোপের মাঝে সাধারণ মানুষ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়েছেন, সেই সঙ্গে বেড়েছে স্বাস্থ্য সচেতনতাও।

চিকিৎসা, টিকা ইত্যাদি থাকার পরও করোনার প্রকোপ থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া এখনও অনেকটা দূরের পথ।

করোনাভাইরাস একাবারে নির্মূল হয়ে গেলেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় না কখনই। সেজন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখতে হবে।

আর রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন সি একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান।

তবে রোগের আতঙ্কে এই পুষ্টি উপাদান অতিরিক্ত গ্রহণ করলেও বিপত্তি বাঁধবে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে জানান হল সেই বিপত্তিগুলো সম্পর্কে।

বেশি খাবার খেয়ে ফেলা

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার সময় হয়ত পরিমাণের বিষয়টা অনেকেই মাথায় রাখেন না। যত খাব ততই উপকার- এমনটাই হয়ত ভাবছেন। আর সেই ভাবনা থেকেই অতিরিক্ত খাওয়ার ঘটনাটি ঘটে যায়, তা হোক খাবার কিংবা ‘সাপ্লিমেন্ট’।

কতটুকু ভিটামিন সি প্রয়োজন

বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক ৬৫ থেকে ৯০ মি.লি. গ্রাম ভিটামিন সি প্রয়োজন হয়। তবে দিনে সর্বোচ্চ দুই হাজার মি.লি. গ্রাম পর্যন্ত ভিটামিন সি গ্রহণ করলেও তা নিরাপদ হবে। খাবারের হিসেবে বলতে হয়, একটি কমলায় থাকে ৫১ মি.লি. গ্রাম ভিটামিন সি। তাই দিনে দুটি কমলা খাওয়াই দৈনিক ভিটামিন সি’য়ের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট।

অতিরিক্ত ভিটামিন সি গ্রহণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়

দৈনিক দুই হাজার মি.লি. গ্রাম পর্যন্ত নিরাপদ হওয়ায় ভিটামিন সি অতিরিক্ত গ্রহণ করা সহজ কাজ নয়। তবে যদি করেই ফেলেন তবে দেখা দিতে পারে ডায়রিয়া, বমিভাব ও বমি, বুক জ্বালাপোড়া, পেট ব্যথা, অনিদ্রা, মাথাব্যথা ইত্যাদি।

এসময় ভিটামিন সি আছে এমন খাবার কয়েকদিন এড়িয়ে চলাই সমস্যার সমাধান দেবে।

আসল কথা হল

যে কোনো একটি পুষ্টি উপাদান যতই উপকারী হোক না কেনো তা অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারবে না। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য দৈনিক খাদ্যাভ্যাস যেমন স্বাস্থ্যকর হতে হবে, তেমনি হতে হবে সুষম।

আর ‘সাপ্লিমেন্ট’ তখনই গ্রহণ করা উচিত, যখন কোনো পুষ্টি উপাদান খাবার থেকে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে ‘সাপ্লিমেন্ট’কে খাবারের বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না কখনই।