মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও হতাশা হচ্ছে এমন তিনটি বিষয়, যা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের রাগকে বাড়িয়ে দিতে পারে। এমন অবস্থায় যে কোনো সময়, যে কারও ওপরেই রাগ হতে পারে।
রাগ হওয়াটা মানুষের আবেগের একটি অংশ হলেও অযথাই যে কারও ওপর রাগ হাওয়াটা মোটেও স্বাস্থ্যকর না এবং এটি আমাদের মানসিকভাবেও ক্ষতি করে।
যেসব বিষয়ে অকারণে রাগ হয়, আসুন জেনে নিই সেই সম্পর্কে—
১. অস্বাভাবিক সম্পর্ক
মানুষের সঙ্গে অস্বাভাবিকভাবে সম্পর্ক বা মাত্রাতিরিক্ত সম্পর্ক হওয়ার ফলে এমন একটি পরিস্থিতি দাঁড়ায়, যখন আপনার সব কিছুতেই হ্যাঁ বলতে হয়। ফলে একসময় আপনার ভেতরে বিরক্ত কাজ করে। এমনকি এটিও মনে হতে পারে যে, মানুষ আপনার সুবিধা গ্রহণ করছে। এ কারণে অযথা ওই ব্যক্তির ওপর রাগ হতে পারে।
২. মূল্যায়নের অভাব
আপনি মানুষের কাছ থেকে যখন মূল্যায়ন পাওয়ার অতিরিক্ত প্রত্যাশা করবেন, তখন নিজেকে অসম্মানিত মনে হতে পারে। আর বিষয়টি সেই ব্যক্তিকে জানানোর পরও যদি আপনি অমূল্যায়িত হয়ে থাকেন, তা হলে আপনার অযথাই রাগ কাজ করতে পারে।
৩. নিয়ন্ত্রণে সমস্যা
সব কিছুর ওপরে নিয়ন্ত্রণ রাখা উচিত। আপনার রাগ হলেই সেটিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরিস্থিতি সামলিয়ে উঠতে না পারেন, তবে তা একটি খারাপ পরিস্থিতিতে পরিণত হতে পারে। তাই চেষ্টা করবেন রাগের সময় যতটা সম্ভব নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখার।
৪. আবেগ চেপে রাখা
আপনার আবেগ যখন প্রকাশ করতে পারবেন না, তখন আপনার প্রায়ই এ কারণে রাগ হতে পারে। কেউ কখনই নিজের অনুভূতির সবটা চেপে রাখতে পারে না। আর এমনটি করা হলে তা এক সময় বিরক্তি আকারে বড় হয়ে এলোমেলোভাবে রাগের আকারে প্রকাশ পেতে পারে।
৫. কোনো বিষয় বুঝতে না পারা
যখন কোনো বিষয়ে আপনি পরিষ্কারভাবে বোঝার ক্ষমতা হারাবেন, তখন আপনার নিজেকেই অনেকটা আক্রমণাত্মক মনে হতে পারে। আর এ কারণে আপনার অনিয়ন্ত্রিতভাবে রাগ হতে পারে।
৬. চিকিৎসাসংক্রান্ত সমস্যা
নানা রকম চিকিৎসাসংক্রান্ত সমস্যা যেমন অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার (এডিএইচডি), বর্ডারলাইন পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার (বিপিডি), প্রিমেনস্ট্রুয়াল ডিসফোরিক ডিসঅর্ডার (পিএমডিডি) ছাড়াও আরও অনেক কিছু চিকিৎসা জনিত কারণে আপনার হঠাৎ করে রাগের অনুভূতি হতে পারে। এমনটি মনে হলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসা নিতে পরেন।