বয়স বাড়লেই কেবল চুল পাকে এমন ধারনা ঠিক নয়। তবে এখন কিন্তু এমন অনেকের চুল পাকার সমস্যা হচ্ছে, যারা বয়সে তরুণ। এখন এটি বেশ স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। একটি-দুটি চুল পাকলে সমস্যা নেই, কিন্তু একসঙ্গে সব চুল পেকে গেলেই সমস্যা। তখন অনেকে বাধ্য হয়ে চুলে রং করে নেন। আর কেমিক্যালে ঠাসা সেসব রং ব্যবহারে চুল আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
অল্প বয়সে চুল পাকার এই সাধারণ সমস্যা যদি ঘটে থাকে আপনার ক্ষেত্রেও তবে এর কারণগুলো জেনে নেওয়া জরুরি। কারণ জানা থাকলে সমাধান খুঁজে পাওয়া সহজ হয়। চুল কালো করার জন্য কেমিক্যালযুক্ত হেয়ার কালার ব্যবহার করবেন না। চুল পাকার সমস্যা হলে জেনে নিন এটি কী কারণে ঘটতে পারে-
বংশগত কারণ
কম বয়সে চুল পাকার অন্যতম কারণ হতে পারে বংশগত। পরিবারের সদস্যদের অল্প বয়সে চুল পাকার ইতিহাস থাকলে আপনার ক্ষেত্রেও এটি ঘটতে পারে। এক্ষেত্রে এই সমস্যা প্রতিরোধ করার উপায় নেই। আপনি যেটি করতে পারেন তা হলো, প্রাকৃতিক উপায়ে চুল কালো করার চেষ্টা।
কোনো অসুখের কারণে
আপনার চুল অকালে পেকে যাওয়ার কারণ হতে পারে নানা ধরনের অসুখও। কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যানিমিয়া এবং থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের সমস্যা ইত্যাদি কারণে চুল পেকে যেতে পারে। যারা দীর্ঘ সময় ধরে হাইপারথাইরয়েডিজমের মতো রোগে ভুগছেন তাদের চুল কম বয়সেই পেকে যেতে পারে। তাই এসব অসুখ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা করাতে হবে।
কেমিক্যাল এবং সূর্যের তাপের কারণে
আপনি যদি দিনের বেশিরভাগ সময় রোদে কাটান তবে আপনার চুল অল্প বয়সেই পেকে যেতে পারে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই রোদে থাকতে হলে যতটা চুল সম্ভব ঢেকে রাখুন। এছাড়াও মাত্রাতিরিক্ত কেমিক্যাল যুক্ত কসমেটিক্স ব্যবহার করলেও চুল পেকে যেতে পারে অল্প বয়সেই।
মানসিক চাপ
মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের কারণে অল্প বয়সে চুল পেকে যেতে পারে। কারণ আমরা যখন মানসিক চাপে থাকি তখন শরীরের ভেতরে কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে। এর প্রভাবে ভিটামিন বি এর মাত্রা কমতে থাকে। যে কারণে ধীরে ধীরে চুল পাকতে শুরু করে। সেইসঙ্গে শরীরেও তার প্রভাব পড়তে শুরু করে।
মেলানিনের ঘাটতি হলে
চুলের ফলিকলের চারপাশে মেলানোসাইটিস নামক একটি গ্রন্থি থাকে। এটি মেলানিন উৎপাদন করে। আমাদের চুল হলো কেরাটিন নামক এক ধরনের প্রোটিনের সমষ্টি। চুলের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মেলানোসাইটিস কর্টেক্সে মেলানিন ঢুকিয়ে দেয়। এদিকে কেরাটিন যদি মেলালিন ছাড়া থাকে তাহলে দেখতে হলদেটে বা ধূসর লাগে। তাই মেলানিন উৎপাদন কমে গেলে তা হতে পারে চুল পাকার কারণ।