অ্যাসিড রিফ্লাক্স থেকে বাঁচবেন যেভাবে

0
2
Spread the love

রাতে জম্পেশ খেয়ে যখন ঘুমাতে যাবেন, তখন দেখলেন বুকে প্রচণ্ড জ্বালা-পোড়া। চোখ মুদলেও ঘুমাতে পারছেন না কিছুতেই। কয়েক ঢোক পানি খেয়েও কাজ হচ্ছে না। তখন খেয়ে নিলেন গ্যাসট্রিকের ওষুধ। সেই যাত্রায় হয়ত মুক্তি পেলেন, কিন্তু কেন বুক জ্বালা-পোড়া করে, কেনই বা তেতো ঢেকুর ওঠে— জানেন? এর প্রতিকারই বা কি?

চিকিৎসাশাস্ত্র মতে, অমন অস্বস্তিকর ‘অ্যাসিড রিফ্লাক্স’ পরিস্থিতিকে বলে গ্যাস্ট্রো ইসোফেজিয়েল রিফ্লাক্স ডিজিজ বা জিইআরডি। হজমের সমস্যা এবং পেটের রোগের থেকে এটি হয়। তবে এটি স্রেফ একটি ঘটনা নয়, এটাও এক ধরণের রোগ। ভারতের মহারাষ্ট্রের চিকিৎসক দত্তাত্রেয় সোলাঙ্কি জানিয়েছেন এটি এক ধরনের ক্রনিক রোগ, অর্থাৎ এমন অসুখ, যা বার বার ফিরে আসে।

দত্তাত্রেয় বলছেন, ‘জিইআরডির সমস্যা তখনই হয়, যখন পাকস্থলীতে থাকা অ্যাসিড শারীরিক গোলযোগের কারণে খাদ্যনালিতে উঠে আসে। সেটা যখনই হয়, তখনই গলা-বুক জ্বালা, তিক্ত অম্ল স্বাদের জল মুখে উঠে আসা, তেতো ঢেকুর, বুকে ব্যথা, গলার কাছে কিছু আটকে থাকার মতো অনুভূতি হতে থাকে।’

এর পরিত্রাণের চারটি উপায়ও বাতলে দিয়েছেন দত্তাত্রেয়—

* গভীর রাতে খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে। দত্তাত্রেয় বলছেন, বিছানায় শোয়ার অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নেওয়া উচিত।

* অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা থাকলে ঘুমানোর সময় বালিশে পিঠ দিয়ে বিছানা থেকে অন্তত ৬-৮ ইঞ্চি উঁচুতে মাথা রেখে ঘুমান। তাতে পাকস্থলী থেকে খাদ্যনালি বেয়ে অ্যাসিড উঠে আসার সমস্যা কিছুটা কমবে।

* বাঁ দিক ফিরে ঘুমালে খাদ্যনালীর উপর চাপ পরে কম। তাতেও অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা কমানো সম্ভব।

* বাজারে পাওয়া অ্যান্টাসিডও সাময়িক স্বস্তি দিতে পারে। তবে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে