শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ইন্টার্ন চিকিৎসদের কর্মবিরতির কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় দ্বিগুণ রোগী মারা গেছে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এ হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন রোগী ভর্তি থাকে দেড় থেকে দুই হাজার। প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক চিকিৎসক পদ শূন্য থাকায় এই হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট প্রতিনিয়ত। সংকটের মধ্যে কিছুটা হলেও হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে আসছিলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
গত শনিবার দুপুর ২টা থেকে ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে চিকিৎসা সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। দক্ষিণাঞ্চলের উন্নত চিকিৎসার ভরসাস্থল বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
চিকিৎসা সংকটের কথা স্বীকার করে দ্রুত সংকট সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন। ৫০০ শয্যার শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ২০১০ সালে এক হাজার শয্যায় উন্নীত হলেও জনবল বাড়েনি আজ পর্যন্ত। উপরন্তু ৫০০ শয্যার জনবলেই রয়েছে ঘাটতি। প্রায় ৫০০ চিকিৎসক প্রয়োজন হলেও কর্মরত আছেন মাত্র ৯৫ জন। এর মধ্যে পরিচালকসহ ৫ জন ডাক্তার প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন। বাকি ৯০ জন ডাক্তার ৩ শিফটে সেবা দেন হাজারও রোগীর। এ কারণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা না পাওয়ার অভিযোগ প্রতিনিয়ত। এর ওপর গত শনিবার দুপুর ২টা থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করায় রোগীদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে। গত দুই দিনেও ডাক্তারের দেখা না পেয়ে ক্ষুব্ধ অনেক রোগী ও তাদের স্বজনরা। বরিশাল শেবাচিম শাখা ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. সজল পান্ডে বলেন, রোগীদের কষ্ট দেওয়া বা তাদের জিম্মি করা ইন্টার্ন চিকিৎসকদের উদ্দেশ্য নয়।
তবে কাজের উপযুক্ত পরিবেশ প্রয়োজন। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবি মেনে নিলেই তারা কাজে ফেরার কথা বলেন। ইন্টার্ন চিকিৎকদের কর্মবিরতিতে সংকটের কথা স্বীকার করে দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন।