এইডস রোগীর জন্য দুটি নতুন ওষুধ তৈরির দাবি বিজ্ঞানীদের

0
114
Spread the love

এইডসের মতো মারণ রোগের চিকিৎসায় কি তবে আশার আলো দেখা গেল? দুটি নতুন ইনজেকশনের মাধ্যমে দুস্থ হবেন এইডস রোগীরা। ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) ওষুধ দুটিতে অনুমোদন দিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি রোগীদের ওপর প্রয়োগ করা হবে।

এইচআইভি মানুষের দেহে প্রবেশ করলে সবার আগে শরীরের রোগপ্রতিরোধী টি-কোষকে নিশানা করে থাকে। ভয়ঙ্কর এ রোগ খুব দ্রুত জিনগতভাবে বদলে যেতে পারে এ ভাইরাস। মানুষের দেহে প্রবেশ তাড়াতাড়ি বিভাজিত হয়ে সংখ্যাতেও বাড়তে পারে। শরীরের রোগপ্রতিরোধী কোষগুলোকে নষ্ট করতে থাকে। ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। সাধারণ কোনো সংক্রমণ হলেও তা বড় ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রাণনাশের আশঙ্কা বেড়ে যায়। সে জন্য রোগীদের নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়।

গবেষকরা দাবি করে বলেন, নতুন ওষুধের যদি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না হয়, তা হলে দুই মাস অন্তর ইনজেকশন দিতে থাকলে রোগীকে প্রতিদিন কড়া ওষুধ খেতে হবে না। আর সংক্রমণের ভয়ও কম থাকে। নতুন এই ওষুধ কতটা কার্যকর, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

ওষুধ দুটির নাম হচ্ছে— রিলপিভিরিন ও ক্যাবোটেগ্রাভির। দুটিই অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ। গবেষকরা জানিয়েছেন, ওষুধ দুটির ‘কম্বিনেশন’ তৈরি করা হচ্ছে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট ডোজে মিশিয়ে তা ইনজেকশনের মাধ্যমে রোগীকে দেওয়া হবে। প্রথম ডোজের এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। এরপর প্রতি দুই মাস অন্তর সেই ইনজেকশন এইডস রোগীদের দেওয়া শুরু হবে।

প্রসঙ্গত, হিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস বা এইচআইভি একবার মানব শরীরে প্রবেশ করলে তা আক্রমণ করে দেহের অনাক্রম্যতা বা ইমিউনিটি ব্যবস্থাকে। দেখা দেয় ‘অ্যাকুয়ার্ড ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম’, যাকে এক কথায় বলে এইডস। এখন পর্যন্ত এই রোগ সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করার মতো কোনো ওষুধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি জানা নেই। তাই নতুন ওষুধ কার্যকরী হলে চিকিৎসাক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী হতে পারে বলেই মত গবেষকদের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে