ছিপছিপে গড়নের আর্কষণীয় শরীর কম বেশি সবাই চায়। আর এজন্য ঝটপট ওজন কমানোর উপায় খুঁজতে থাকে মানুষ। দ্রুত ওজন কমাতে বিভিন্ন পানীয়ের ওপর ভরসা করে অনেকেই। কিন্তু এই পানীয়গুলো কি আসলেই ওজন কমাতে সাহায্য করে তা প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়।
স্বাস্থ্যকর আর স্থায়ীভাবে ওজন কমাতে খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি শরীরচর্চাও করতে হবে। ওজন কমাতে ডিটক্সিফাইং পানীয়গুলো সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কিন্তু ওই পানীয় খেলেই যে ওজন কমানো সম্ভব বিষয়টি সেরকম না।
ভারতে চিকিৎসক সিদ্ধান্ত ভার্গব ওজন কমানো প্রসঙ্গে বলছেন, ‘আমরা কখন ওজন কমাতে দ্রুত উপায় খোঁজা বাদ দেব? তিনটি পানীয় ওজন কমানোর জন্য জনপ্রিয় কিন্তু আসলে কোনটিই কাজ করে না। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি কার্যকর তা হলো ক্যালোরি মেপে খাওয়া।’
যে তিনটি পানীয় নিয়ে আমাদের ভুল ধারণা আছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার:
অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের অনেক উপকারী দিক আছে। শরীর ভালো রাখতে অর্থাৎ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার। তবে ওজন কমাতে সরাসরি কোন ভূমিকা পালন করে না অ্যাপেল সিডার ভিনিগার। বরং খালি পেটে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খেলে অ্যাসিডিটি, হজমে গণ্ডগোল দেখা দেয়। সেই সাথে মুখের ভিতরে ক্ষত দেখা দেয়।
গ্রিন টি:
ওজন কমাতে সবত্রই রয়েছে গ্রিন টির জয়জয়কার। অনেকে ওজন কমাতে দিনে তিন থেকে চার কাপ গ্রিন টি খেয়ে থাকে। গ্রিন টি যে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
তবে সকালে এক কাপ গ্রিন টি খাওয়া যে ওজন কমায় বিষয়টা এরকম না। গ্রিন টি পান করলে মেটাবলিক রেট বৃদ্ধি পায় যার ফলে আপনি বেশি গ্রিন টি পান করতে শুরু করেন যা শরীরের জন্য মোটেও ভালো না।
আদা,মধু ও লেবু পানি:
এক কাপ আদা,মধু ও লেবুর পানি শরীরের জন্য ভালো এবং খেতেও ভালো। মানুষ ওজন কমাতে খালি পেটে এই পানীয় পান করে থাকে। তবে বিষয়টি ঠিক না। এই পানীয়তে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখে। তবে ওজন কমানোর বেলায় কোন ধরণের ভূমিকা পালন করেনা এই পানীয়।