ফলের খুবই স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। তাই তো নিয়মিত ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা। এই অভ্যাস শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদরাও অনেক সময়ে ওজন কমাতে ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন।
ফল শরীরের যত্ন নেয়, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে সব ধরনের ফল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এমন কয়েকটি ফল আছে, যেগুলো ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।
‘নিউট্রিয়েন্টস’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র অনুসারে, এমন কিছু ফল আছে যাদের মধ্যে ফ্রুক্টোজের মাত্রা খুব বেশি।
এমন ফল বেশি খেলে ক্যালরি বাড়তে পারে। ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় তাই সেই ফলগুলো এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক সেসব ফল সম্পর্কে—
কলা
শরীরে ভেতর থেকে শক্তি জোগায় কলা। তবে দিনে একটির বেশি কলা খেলে বাড়তে পারে ওজন। কারণ কলায় ক্যালরির পরিমাণ ১৫০। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ৩৭.৫। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খেলে ওজন বাড়তে পারে। পেশি শক্তি বাড়ানোর জন্য কলা খুব উপকারী, তবে খেতে হবে পরিমিত।
আম
আম ভিটামিন এ, সি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের উৎস। তবে এতে চিনির মাত্রা খুব বেশি থাকে। একটি মাঝারি আকারের আমে প্রায় ১৫০-১৬০ ক্যালরি থাকে, চিনি থাকে প্রায় ২৫ গ্রাম। এ ছাড়া এই ফলে ফাইবারের পরিমাণও বেশি এবং কার্বোহাইড্রেটও রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। তাই আম খেলে হজম ভালো হয় ঠিকই, তবে এক দিনে অতিরিক্ত পরিমাণে আম খেলে বাড়তি ক্যালরি জমা হবে শরীরে। যার ফলে ওজন বাড়তে পারে।
আনারস
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ আনারস শরীরের খেয়াল রাখে। আনারসে পানির পরিমাণও একেবারে কম নয়। শরীরে পানির ঘাটতি মেটাতে আনারস কার্যকরী। তবে আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও বেশি। আনারস খেলে তাই ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
আঙুর
এই ফলটি পছন্দ করেন অনেকেই। তবে আঙুরে শর্করার মাত্রা খুবই বেশি। এক কাপের মতো আঙুরে প্রায় ১০৪ ক্যালরি থাকে। প্রতিদিন আঙুর বেশি পরিমাণে খেতে থাকলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।
সবেদা
পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, ফাইবার, আয়রন সমৃদ্ধ সবেদা শরীরের জন্য ভালো। তবে এতে চিনির ভাগ বেশি। ১০০ গ্রাম পরিমাণ সবেদায় ১৩ থেকে ১৪ গ্রামের মতো চিনি থাকে। তাই সবেদা বেশি খেলেই মুশকিল। দিনে একটা খেলে কোনো ক্ষতি নেই।
লিচু
লিচুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এই উপাদানটি ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতেও এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। লিচুতে ক্যালরি খুব কম, ফাইবার বেশি। তাই পরিমিত পরিমাণে লিচু খেলে কোনো ক্ষতি নেই। তবে এতে চিনির মাত্রা ১০০ গ্রামে প্রায় ১৫ গ্রামের মতো। সারা দিনে যদি টপাটপ লিচু খেয়ে যান, তা হলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।