ডেল্টার পর করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে সারা বিশ্বেই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। কারণ, অত্যন্ত সংক্রামক। ইতোমধ্যে বাংলাদেশেও ওমিক্রনে আক্রান্তের খবর মিলেছে।
ওমিক্রন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার আমরি হাসপাতালের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রুদ্রজিৎ পাল সেখানকান সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ওমিক্রন নিয়ে প্রচুর গবেষণা চলছে। জানা যাচ্ছে, এই ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনে ঘটেছে মিউটেশন। স্পাইক প্রোটিনে এই বদলের ফলে ওমিক্রন হয়ে উঠেছে অত্যন্ত সংক্রামক। অর্থাৎ একটি মানুষ থেকে অপর মানুষে ওমিক্রন দ্রুত পৌঁছে যেতে পারে।
ওমিক্রনে আক্রান্তদের ফুসফুসে কী প্রভাব পড়ে?
ডা. পাল জানান, এতদিন পর্যন্ত যতদূর জানা যাচ্ছে, ওমিক্রন খুব সংক্রামক হলেও রোগ তেমন গুরতর দিকে এগোয় না। এমনকী দক্ষিণ আফ্রিকায় এ বিষয়টি সামনে উঠে এসেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই থাকে করোনার মৃদু উপসর্গ।
তাহলে কি ফুসফুসের কোনো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই?
ডা. পাল বলেন, ‘না, এভাবে বলা যাবে না। করোনা হলো রেসপিরেটরি ভাইরাস। অর্থাৎ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে শ্বসনতন্ত্রে। ওমিক্রনও কোভিড ১৯-এরই রূপ। ফলে এর থেকেও ফুসফুস আক্রান্ত হতে পারে। তখন শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে, কমতে পারে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা।
এক্ষেত্রেও কি হতে পারে নিউমোনিয়া?
ডা. পালের কথায়, নিউমোনিয়া হরো ফুসফুসের মারাত্মক সংক্রমণ। তাও ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়া আমাদের দুটি ফুসফুসের মধ্যে একটিকে আক্রান্ত করে। কিন্তু ভাইরাস সংক্রমণের কারণে নিউমোনিয়া হওয়া খুবই খারাপ। এক্ষেত্রে দুটি ফুসফুসেই সমস্যা ছড়িয়ে যায়। রোগীর অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়। কোভিড নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রেও ঘটেছে এই সমস্যাই। তাই এত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আর ওমিক্রন কোভিড ভাইরাস হওয়ায় এই ঘটনা ওমিক্রন আক্রান্তের সঙ্গেও ঘটতে পারে। তাই সবাধান থাকুন।
কী সতর্কতা নিতে হবে?
এক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে ফিরিয়ে আনতে হবে করোনাবিধি। করোনার নিয়ম মেনে এ সমস্যার সমাধান করা যাবে। মাস্ক পরুন, হাত ধুয়ে নিন, স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। পাশাপাশি শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। ভিড়ে যাবেন না।