সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কক্লিয়ার ইমপ্লান্টের স্থাপনের মাধ্যমে শ্রবণশক্তি ফিরে পেলেন ৩৭ জন, যার অধিকাংশই শিশু। গত বুধবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলন ও ইমপ্লাটি সমাবেশে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য দেন ওসমানি মেডিক্যাল কলেজের নাক-কান-গলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহযোগিতায় ঢাকার বাইরে সিলেটে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। ২০২২ সালে ২৫ মে সিলেটে প্রথমবারের মতো জন্মবধির এক শিশুর কানে সফল অস্ত্রপচারের করা হয়। এ চিকিৎসা পদ্ধতি জটিল ও ব্যয়বহুল। এক একটি কক্লিয়ার ইমপ্লাট ডিভাইসের দাম ৬ থেকে ১৪ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ব্যয়বহুল কক্লিয়ার ইমপ্লাট বিনামূল্যে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫ জন দক্ষ কক্লিয়ার ইমপ্লাট সার্জন আছেন, যা এ প্রতিষ্ঠানের বিরাট অর্জন।
এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, এ প্রকল্প কর্মসূচির আওতায় অনেক শিশু স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেয়েছে। যে বাবা-মা তার প্রিয় সন্তানের মুখে কোনোদিন মা-বাবা ডাক শুনতে পাননি তারা তাদের জীবনে মা-বাবা ডাক শুনতে পেয়েছেন। এটা বিরাট আনন্দের।
তিনি আরো বলেন, আমরা এই হাসপাতালের মাধ্যমে জনগণকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দিতে চাই। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাইরের একটি শক্তি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ব্যবসার কেন্দ্রস্থল বানাতে চায়। আর এজন্য মাঝেমধ্যে অনাকাঙিক্ষত ঘটনার জন্ম হয়। আমরা এই হাসপাতালে চিকিৎসার পরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. মুজিবুল হক, ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী, প্রজেক্ট ডিরেক্টর ডা. নুরুল হুদা নাঈম ও ডা. নুরুল ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশে উপকারভোগী শিশু ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এতে কক্লিয়ার ইমপ্লাটবিষয়ক তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া কক্লিয়ার ইমপ্লাট স্থাপনের এক বছর পূর্তিতে কেক কেটে উদযাপন করেন উপস্থিত সুধীজন ও অতিথিরা।