সারা বিশ্বের মানুষের জন্য করোনাভাইরাসের টিকার ব্যবহার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চাইবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলতি মাসের ২৬ তারিখ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি এ নিয়ে প্রস্তাব দেবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জাতিসংঘের ৭৫ তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ নিয়ে আজ সোমবার আয়োজিত এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছরের মাথায় এই প্রথমবারের মতো সাধারণ পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে ভার্চুয়ালি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এবারের অধিবেশনে যে করোনাভাইরাস প্রসঙ্গ বিশেষ গুরুত্ব পাবে এটা স্পষ্ট। মহামারির ছোবল থেকে জনস্বাস্থ্য আর অর্থনীতিকে বাঁচাতে কীভাবে একে অন্যকে সহযোগিতা করবে, এটা প্রাধান্য পাবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতিসংঘের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার ভোর চারটায় প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেবেন এবং আগামী ১ অক্টোবর পর্যন্ত অন্য মোট সাতটি অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নেবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মূল বক্তব্য দেবেন, যেখানে রোহিঙ্গা বিষয়সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে তুলে ধরবেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় কোভিড-১৯, রোহিঙ্গা সমস্যা, লিঙ্গবৈষম্য কমানো, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসহ অন্যান্য বিষয়ে কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কী বলবেন জানতে চাইলে আবদুল মোমেন বলেন, ‘তিনি কী বলবেন আমি জানি না, তবে আগে যা বলেছেন তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তিনি বক্তব্য দেবেন। প্রতিবারের মতো এবারও জাতিসংঘের অধিবেশনে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যাটি তুলে ধরবেন। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে আইসিজেতে চলমান মামলা এবং আইসিসিতে রোহিঙ্গা নির্যাতনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চলমান আইনি প্রক্রিয়ার কারণে এবারের অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা আগের বছরগুলোর মতোই গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হবে।’
সাধারণ পরিষদের অধিবেশন এবার ভার্চুয়াল হওয়ায় অতীতের মতো এবার আর অধিবেশনের ফাঁকে কোনো বৈঠক হবে না।
সূত্রঃ প্রথমআলো