করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে ভারতে ক্রমেই বাড়ছে বার্ড ফ্লু-র আতঙ্ক। রবিবার পর্যন্ত সাতটি রাজ্য বার্ড ফ্লু সংক্রমণের কথা জানানো হয়েছে। রাজ্য গুলো হলো-উত্তরপ্রদেশ, কেরালা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা এবং গুজরাট।
পরিস্থিতি বুঝতে রাজ্যগুলির সঙ্গে শুক্রবার একদফা বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বার্ড ফ্লু নিয়ন্ত্রণের পন্থা বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমন পরিস্থিতিতে দেশে বার্ড ফ্লু নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যেই জলাশয়ে মৃত পাখির হদিস মিলেছে। শনিবার তা নজরে আসে এক পর্যটক এবং স্থানীয় এক গাইডের। রবিবার নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানোর কথা রয়েছে।
সংক্রমণ রুখতে কেরালার একাধিক জেলায় ইতোমধ্যেই হাঁস-মুরগি নিধন শুরু হয়েছে। সংক্রমণমুক্ত করার প্রক্রিয়াও চলছে। প্রায় ১.৬০ লাখ পাখি নিধন করবে বলে জানিয়েছে হরিয়ানা। দিল্লিতেও গত কয়েকদিনে ২৪টি কাকের মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে নমুনা।
কেরালা, হরিয়ানা ও হিমাচল প্রদেশের যে সব এলাকা থেকে পাখির মরদেহের খবর এসেছে, সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি ও মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় দল।
ইতোমধ্যেই দিল্লির সবচেয়ে বড় পোল্ট্রি মার্কেট দশ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার জন্য হেল্পলাইন। প্রতিটি জেলায় পাঠানো হয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স। অপরদিকে, পাঞ্জাবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভিন রাজ্য থেকে মুরগি আমদানি-রফতানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের ১৩ জেলায় ১১০০ কাকের মৃত্যু হয়েছে। বন্য পাখির মৃত্যু হয়েছে সে রাজ্যের প্রায় ২৭ জেলায়। ছত্তিশগড়েও পাখি মৃত্যুকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
করোনা নিয়ে এমনিতেই তোলপাড় ভারত। তারই মধ্যে দেশজুড়ে বার্ড ফ্লু-র হানা যাতে প্রকট হয়ে উঠতে না-পারে, সে জন্য আগে থেকেই কোমর বেঁধে নামছে কেন্দ্র।
রাজ্যের যে সমস্ত জায়গায় হাঁস-মুরগি পালন হয়, সেখানে নিয়মিত লোক পাঠিয়ে নজরদারির কথা বলা হয়েছে দিল্লির পাঠানো নির্দেশিকায়।