করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত গোটা দেশ। দিন দিন যে ভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে করে কখন এর শেষ হবে তা বলা মুশকিল। এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে জটিল হচ্ছে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা। যার মধ্যে বর্তমানে মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে হজমজনিত সমস্যা।
করোনা মোকাবেলায় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে চলছে লকডাউন। নিজেদের গৃহবন্দি করে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়া কাজের ক্ষেত্রেও শুরু হয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম। এতে করে হাঁটাচলা ও শরীরচর্চা হচ্ছে না। যার কারণেই দেখা দিচ্ছে নানা সমস্যা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই পরিস্থিতিতে হজমজনিত নানান সমস্যা নিয়ে আসছেন বহু রোগী।
স্বাস্থ্যকর হজম পদ্ধতি নির্ভর করে মূলত স্বাস্থ্যকর ডায়েট, নিয়মিত ব্যায়াম, ভালো ঘুম ইত্যাদি একাধিক বিষয়ের উপরে। গেলো এক বছরেরও বেশি সময় বাড়িতে থাকায় এসেছে খাবারে দাবারে পরিবর্তন। খাবারের রেসিপি দেখে নতুন নতুন রান্নার প্রতি আগ্রহও বাড়ছে বহু মানুষের। এছাড়াও অতিরিক্ত ভাবে বাড়ছে প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার প্রবণতা। রেস্তোঁরাগুলি বন্ধ হয়ে গেলেও হোম ডেলিভারি চলছে । অতিরিক্ত ক্যালোরি যুক্ত এই খাবার গ্রহণ করলেও সঠিক পরিমাণ বিশ্রাম ও ঘুম না হওয়ায় বাড়ছে হজমের সমস্যা।
চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা সংক্রমণের ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা প্রকট হতে পারে। যার ফলে খিদে না পাওয়া, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যথা দেখা দেয়। এর পাশাপাশি করোনা সংক্রমণের পরবর্তী সময় বহুল সংখ্যক রোগী অ্যাসিডিটি, অ্যাসিড রিফ্লাক্স, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি একাধিক হজমের সমস্যা নিয়ে আসেন।
এই হজমের সমস্যা দূর করতে যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ডায়েট মেনে চলা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তৈলাক্ত এবং অত্যধিক মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। চিনি থেকে দূরে থাকুন। সময়ের খাবার সময়মত খাবেন। খুব গভীর রাতে খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। খুব গভীর রাতে অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। ধূমপান এবং অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকুন। দিনে এক থেকে দু’কাপ চা এবং কফি গ্রহণ করতে পারেন।