নারীরা সবচেয়ে বেশি যেসব ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে অন্যতম স্তন ক্যানসার। বয়স ভেদে যে কোনো নারীর দেহেই এই ক্যানসার বাসা বাঁধতে পারে। এমনকি, পুরুষের শরীরেও দেখা দিতে পারে স্তন ক্যানসার, তবে পুরুষদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম।
প্রাথমিক অবস্থাতেই ধরা পড়লে রোগ নিরাময়ের সুযোগ বেশি থাকে। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই রোগ ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। ঠিক কী কারণে এই রোগ হয়, তা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও বেহিসাবি জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, প্রাত্যহিক বিভিন্ন বদভ্যাস এই মরণরোগ ডেকে আনতে পারে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। ২০-৩০ বছর বয়সিদের সতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়।
যাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি-
১. পরিবারের কারও ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে।
২. হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
৩. স্তনে কোনও রকম সংক্রমণ বা অন্য কোনো রোগ হলে।
যে অভ্যাসে পরিবর্তন আনলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে-
১. জীবনযাপনে অনিয়ম করলে চলবে না। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে কিন্তু নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় না।
২. খাওয়া-দাওয়ার অনিয়মে ওজন বাড়ে। বাইরের তেল-ঝাল-মশলা জাতীয় অস্বাস্থ্যকর খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্যাকেটজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাসে রাশ টানা জরুরি। শরীরের ওজন বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি হয়। বদলে ডায়েটে বেশি করে ফল, শাকসব্জি, গোটা শস্য, লিন প্রোটিন বেশি করে রাখতে হবে।
৩. বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্তন্যপান করালে কিন্তু স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে। স্তন্যদানের সময় শরীরে হরমোন ঘটিত নানা রকম বদল আসে, যা স্তনের কোষগুলির অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে।
৪. স্তনে কোনো রকম অস্বাভাবিক বদল দেখলেই সতর্ক হোন। স্তনে কোনও রকম মণ্ড দেখতে পেলে, স্তনবৃন্তের রং বদলে গেলে, স্তনবৃন্ত থেকে কোনও রকম তরল বেরোলে কিংবা স্তনে ব্যথা হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।