সুস্থ থাকতে কে না চান। সব সময় শৃঙ্খল জীবন মেনে চললেই সুস্থ থাকা যায়। কিন্তু আমরা কি সব সময় শৃঙ্খল জীবন যাপন করি? এমন প্রশ্নের উত্তরে কেউই হ্যাঁ বলতে পারবেন না। সময়ের সঙ্গে অনেকেই নিজেকে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলার চেষ্টা করেন। সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে সুস্থ রাখা জরুরি। কিডনি শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। তাই কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রতিদিন ১০টি অভ্যাস আয়ত্ত করতে পারেন, যা আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে।
১. কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে এই অভ্যাস। সহজ রুটিন মেনে চলা যেতেই পারে। যেমন খাবারের ক্ষেত্রে ভারসাম্য মানা, হাইড্রেশন, চাপমুক্ত থাকা।
২. সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে পানি পান করা উচিত। কিডনির টক্সিন বের করতে সাহায্য করে এই অভ্যঅস। এটি কিডনির কর্মক্ষমতা ঠিক রাখতে সহযোগিতা করে।
৪. কিডনির স্বাস্থ্যে উপকারী খাবার খাওয়া খুবই প্রয়োজন। যেমন জাম, সবুজ শাকসবজি, অলিভ অয়েল কিডনির ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। সকালের খাবারে এমন কিছু রাখার চেষ্টা করুন।
৫. কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য ব্যালান্সড ব্রেকফাস্ট খুবই জরুরি। এর মধ্যে ফল, দানা শস্য জাতীয় খাবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রাখা প্রয়োজন। যা সারা দিনের জন্য কিডনির কর্মক্ষমতাকে ঠিক রাখবে।
৬. নিয়মিত ব্লাড সুগার লেভেল পরীক্ষা করুন। সে অনুযায়ী খাবার খান। ব্রেকফাস্ট ঠিক না হলে ব্লাড সুগার বাড়তে পারে যার ফলে সমস্যা হতে পারে কিডনির। সার্বিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও তা ক্ষতিকারক।
৭. ব্লাড প্রেসার ঠিক রাখার চেষ্টা করুন। এর জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করাও খুবই জরুরি। সার্বিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ানোতেও সহযোগিতা করে।
৮. অতিরিক্ত ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন। দিনের শুরুতে ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় যেমন কফি অতিরিক্ত পানে কিডনির ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।
৯. ব্যায়ামে যোগ করুন ডিপ ব্রিদিং বা দীর্ঘ শ্বাস। দীর্ঘসময় ধরে শ্বাস-প্রশ্বাসের মেডিটেশন করতে পারেন। যার ফলে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক থাকবে এবং কিডনি ও অন্যান্য অংশকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
১০. লবণ খাওয়ার অভ্যাস কমাতে হবে। বিশেষ করে সকালের খাবারে অতিরিক্ত সোডিয়াম যুক্ত খাবার সহজ কথায় লবণ এড়িয়ে চলুন। হার্বাল টি পান করার চেষ্টা করুন। এর ফলে কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ে।
সূত্র : টিভি৯ বাংলা