বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস এখন নীরব ঘাতকের রূপ ধারণ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে নানা জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। তাই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে ওষুধের সঙ্গে প্রয়োজন জীবনযাপনে পরিবর্তন, নিয়মিত শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর ডায়েট।
শরীরে ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পেছনে থাকতে পারে অনেক কারণ। তার মধ্যে অন্যতম হলো ভিটামিনের অভাব। আধুনিক গবেষণায় দাবি করা হচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট ভিটামিনের অভাবে শরীরে ইনসুলিনের কাজে প্রভাব পড়ে, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান হলো ভিটামিন-ডি। এই ভিটামিন কেবল হাড়ের স্বাস্থ্যই ঠিক রাখে না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং বিপাকও নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন এবং এর প্রভাব বাড়াতেও সাহায্য করে। শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে ইনসুলিন ঠিক মতো কাজ করে না এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ভিটামিন ডি-র সমৃদ্ধ উৎস হলো সূর্যালোক। তা ছাড়া বেশ কিছু খাবার থেকেও এই ভিটামিন পাওয়া যায়। ভিটামিন ডি যে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে পারে, তা অনেকেই জানেন না। বিশেষ করে যারা ইতিমধ্যে প্রি-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের জন্যও ভিটামিন ডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি কিভাবে বুঝবেন
ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই এই ভিটামিনের অভাব হলে হাঁটু, কোমরসহ জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে, বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও বড় ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি। তাই ঘন ঘন ভাইরাল জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগলে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া হাত-পায়ে সুচ ফোটার মত ব্যথা, মাঝেমধ্যে ঝিনঝিন ধরাও ভিটামিন-ডি ঘাটতির কারণে হতে পারে। ভিটামিন ডি-র অভাবে চুল ও ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই অতিরিক্ত চুল পড়া, ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবিলম্বে ভিটামিন-ডি র পরীক্ষা করান।