গাজর
অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি হলো গাজর। এতে রয়েছে সলিউবল ফাইবারের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান খাবারে উপস্থিত কোলেস্টেরলকে অন্ত্রে গৃহীত হতে বাধা দেয়। যার ফলে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বাড়ার সুযোগ পায় না।
তবে এখানেই শেষ নয়, এই সবজিতে উপস্থিত রয়েছে একাধিক জরুরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর সেই উপাদান হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাবারে অবশ্যই গাজরকে জায়গা করে দিন।
লাউ
লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল রয়েছে। যার ফলে এই সবজি খেলে শরীর ডিটক্স হয়। শুধু তাই নয়, এতে মজুত ফাইবার আবার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও সিদ্ধহস্ত। যার ফলে সুস্থ থাকে হার্ট। এছাড়া নিয়মিত লাউ খেলে ওজন কমে দ্রুত গতিতে। যেই কারণে বড়সড় রোগের ফাঁদ এড়িয়ে চলা যায়। তাই চেষ্টা করুন যে ভাবেই হোক লাউকে ডায়েটে জায়গা করে দেওয়ার।
টমেটো
অতি পরিচিত এই সবজিও কোলেস্টেরলকে বশে রাখার কাজে একাই একশ। এতে রয়েছে লাইকোপেন নামক একটি উপাদান। আর এই উপাদান খারাপ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডসকে বশে রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এতে থাকা ফাইবার কোলেস্টেরল গ্রহণে বাধা দেয়। যার ফলে সুস্থ থাকে শরীর। এড়িয়ে চলা যায় হার্টের অসুখ। তাই প্রতিদিনের খাবারে অবশ্যই টমেটোকে জায়গা করে দিন।
ব্রকোলি
একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর ব্রকোলি। সেই সঙ্গে এতে ভরপুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যে কারণে ব্রকোলি খেলে সুস্থ থাকে শরীর। দেহে প্রদাহ কমে। দূরে থাকে হার্টের অসুখ। এর পাশাপাশি খারাপ কোলেস্টেরলকে বশে আনতে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ানোর কাজেও সেরার সেরা হাতিয়ার হতে পারে ব্রকোলি। তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন অবশ্যই ব্রকোলিকে খাবারে জায়গা করে দেওয়ার।
ফুলকপি
শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে চাইলেও নিয়মিত ফুলকপি খেতে হবে। এতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শুধু তাই নয়, নিয়মিত ফুলকপি খেলে দেহে ফাইবারের ঘাটতি মিটে যায়। যার জন্য অন্ত্র থেকে কোলেস্টেরল গৃহীত হতে পারে না। তাই রোজের ডায়েটে অবশ্যই ফুলকপিকে জায়গা করে দিন। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
সূত্র : এইসময়