শুধু খাবার নয়, বিভিন্ন রকম পানীয় থেকেও পেটে সমস্যা হতে পারে।
অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী। এছাড়াও, কিছু পানীয় দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সৃষ্টি করে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে কাষ্ঠ্যকাঠিন্য সৃষ্টি করে এমন দুইটি পানিয় সম্পর্কে জানানো হল।
দুধ: দুধ একটা স্বাস্থ্যকর পানীয়। এটা ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি১২, প্রোটিনে ভরপুর। তবে এটা হজম সমস্যা সৃষ্টি হওয়ারও অন্যতম কারণ হতে পারে। কারও যদি হজমের সমস্যা থাকে তাহলে দুধ পান তার জন্য আরও বেশি ক্ষতিকারক। গরুর দুধে থাকা কেসিন নামক প্রোটিনের সংবেদনশীলতা নবজাতক, শিশু ও ছোট বাচ্চাদের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
ল্যাক্টোজ অসহিষ্ণুতা থাকলে দুধ পান অন্ত্রে থাকা ব্যাক্টেরিয়ার ওপরে বিরূপ প্রভাব ফেলে। এই ধরনের সমস্যা থাকলে দুধের তৈরি খাবার গ্রহণ থেকে ডায়ারিয়া ও বমির মতো সমস্যা দেখা দেয়। ফলে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয় ও কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সৃষ্টি করে।
কফি: পেট পরিষ্কারের জন্য অনেকের ক্ষেত্রে কফি ভালো কাজ করলেও, কারও কারও ক্ষেত্রে পেট ফোলা ও কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টির জন্য দায়ী। কফিতে থাকা ক্যাফেইন পাচনতন্ত্রের পেশিগুলোকে সংকুচিত করে। ফলে পেট পরিষ্কার সহজ হয়। অন্যদিকে কফি মূত্রবর্ধক হওয়ায় তা শরীরে পানির ঘাটতি সৃষ্টি করে। যে কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
পেটের সমস্যা থাকলে কফি পানে তা মারাত্মক রূপ নিতে পারে। তাই যাদের অন্ত্রের অবস্থা ভালো না তাদের উচিত ক্যাফেইন বিহীন পানীয় পান করা।
অ্যালকোহল: অতিরিক্ত মদ্যপান শরীরে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে। এরমধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য অন্যতম। অ্যালকোহল গ্রহণের কারণে শরীরে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়। আর মল তৈরি হওয়ার জন্য প্রয়োজন পানি। শুষ্ক মল শরীর থেকে ঠিক মতো বের হয়ে যেতে পারে না।
দ্বিতীয়ত, অ্যালকোহল যুক্ত পানীয় শরীরের অভ্যন্তরে নানানভাবে প্রভাব ফেলে। যেমন হজম প্রক্রিয়ার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে অন্ত্রের কর্মক্ষমতা কমে। অন্ত্রে খারাপ ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়ায় যা থেকে হতে পারে পেট ফোলা ভাব ও কোষ্ঠকাঠিন্য। এছাড়া পেটে নানান প্রদাহ সৃষ্টি করে অ্যালকোহল। পরিমাণ ও গুণগত মান যাই হোক না কেনো, মদপান থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। তাই এই ধরনের পানীয় গ্রহণ করলে পর্যাপ্ত পানি পান করার কথা ভুললে চলবে না।