খেজুরের উপকারী ও অপকারী – দুরকম দিকই রয়েছে।
মিষ্টির প্রাকৃতিক উৎস হিসেবে অনন্য এক খাবার খেজুর। বাজারে বিভিন্ন জাতের খেজুর মেলে। আর শুধু খেজুর যেমন টপাটপ খেতে পারবেন, তেমনি সালাদ, শরবত, ওটমিল ইত্যাদি বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া যায়।
তবে অতিরিক্ত খেলে বিপত্তিও আছে।
খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনের আলোকে জানানো হল খেজুরের কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
কমাতে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি: দ্রবণীয় ভোজ্য আঁশ সরবরাহ করে খেজুর। শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরল ‘এলডিএল’য়ের যুক্ত হয়ে তা রক্তে মিশে যেতে বাধা দেয় এই আঁশ। একারণে ওই কোলেস্টেরলে থাকা ‘ফ্যাটি লিপিড’ রক্তনালীর দেয়ালের জমতে পারেনা। এভাবেই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে এই ফল।
লড়ে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে: ‘ক্যারোটিনয়েড’, ‘পলিফেনলস’ আর ‘অ্যান্থোসায়ানিনস’ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খেজুর। খাদ্যাভ্যাসে এই উপাদানগুলোর প্রাচুর্য থাকলে ক্যান্সারসহ আরও অনেক দূরারোগ্য ব্যাধির ঝুঁকি কমে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। বিশেষ করে ‘কলোরেক্টাল ক্যান্সার’য়ের বিরুদ্ধে খেজুর বিশেষ উপকারী ভূমিকা রাখে বলে দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা।
ডায়াবেটিস রুখতে: দ্রবণীয় ভোজ্য আঁশের আছে নানান উপকারিতা। যার মধ্যে একটি হল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা।
মেটাতে পারে পুষ্টির ঘাটতি: ভোজ্য আঁশ, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন ডি, এই চারটি পুষ্টি উপাদান মানুষ বরাবরই কম গ্রহণ করে, এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের। আর মাত্র চারটি খেজুর থেকে পেতে পারেন ভোজ্য আঁশের দৈনিক চাহিদার ২৭ শতাংশ এবং পটাসিয়ামের দৈনিক চাহিদার ২০ শতাংশ। ফলে প্রতিদিন কয়েকটি খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে এমন দুটি পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। যেগুলোর ঘাটতিতে ভোগে পুরো বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ।
বাড়তে পারে ওজন
খেজুরের নানান গুণের কথা শুনে যদি সকাল বিকাল খেজুর খাওয়া শুরু করেন তবে বিপদ আসতে খুব বেশি দেরি হবে না।
কারণ মাত্র চারটি বা ১০০ গ্রাম খেজুরেই মিলবে প্রায় ২৭৭ ক্যালরি। প্রচণ্ড মিষ্টি এই শুকনো ফল যদি বেশি খেতে থাকেন তবে ওজন যে বাড়বে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
তাই পরিমাণ মাথায় রাখতে হবে। ভালো খাবারও অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে তা কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে।