আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যাদের স্বপ্নগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ওজন কমানো। কিন্তু তাদের কাছে এ বিষয়টি হয়ে ওঠে অনেক কঠিন। কারণ সঠিক খাওয়া থেকে শুরু করে শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা পর্যন্ত ওজন কমানোর যাত্রাটা সবার জন্য সহজ হয় না।
কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে, ঘুমের মতো আরামদায়ক কিছু কাজের নিয়মেও আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। আপনি রাতে কিছু নিয়ম মেনে ঘুমাতে গেলেন আর সকালে উঠেই দেখলেন ওজন কমে গেছে, বিষয়টি কত মজার তাই না?
আর এটি হওয়াটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। কারণ কিছু নিয়ম মানলেই রাতে ঘুমানোর সময় শ্বাস ও ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে পানি বের হয়ে ওজন কমে যেতে পারে। এমনকি এ সময় যখন শরীর বিশ্রাম নেয় তখন শরীরের অঙ্গ এবং শারীরিক সিস্টেমগুলো বন্ধ হয় না। তাই অঙ্গগুলোর কাজও ক্যালোরি খরচ করে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
আজ জানুন যে ৫ ঘুমের নিয়মে কমবে ওজন—
১. পর্যাপ্ত ও নিয়ন্ত্রিত ঘুম
শুনতে অবাক লাগলেও এটি সত্য যে প্রতিদিন অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুম আপনার ওজন কমাতে অনেক জরুরি। কারণ আট ঘণ্টার কম ঘুমালে স্ট্রেস লেভেল এবং করটিসল হরমোন বাড়তে পারে। আর কর্টিসলের মাত্রা বৃদ্ধি আপনার অন্ত্রের জীবাণুকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। জীবাণুর মাত্রায় ভারসাম্যহীনতা শেষ পর্যন্ত বিপাককে ধীর করে দেয়। ঘুমের ক্ষতি ক্ষুধার হরমোনগুলোকেও ব্যাহত করতে পারে, যা আপনাকে জাঙ্ক ফুড খাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। এটি রক্তে শর্করার বৃদ্ধির দিকেও প্রভাবিত করে ওজন বাড়িয়ে দিতে এবং অন্যান্য জটিলতার কারণ হতে পরে।
২. রাতে ব্যায়াম করা
রাতে ব্যায়াম করা, বিশেষ করে ওজন নেওয়া আপনার শরীরেরও ওজন কমাতে অনেক সহায়তা করতে পারে। কারণ ওজন নিয়ে ব্যায়াম করলে তা আপনার বিপাককে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়িয়ে রাখতে পারে। তাই পরের দিন আপনার বিপাক ভালোভাবে হবে ওবং আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে।
৩. প্রোটিন শেক
রাতে ঘুমানোর আগে আপনি প্রোটিন শেক খেতে পারেন। এটি ধীর-নিঃসৃত অর্থাৎ তা ধীরে ধীরে পরবর্তী আট ঘণ্টার মধ্যে হজম হয়। এ কারণে আপনি ঘুমালেও আপনার বিপাকীয় অঙ্গকে সারা রাত সক্রিয় রাখতে পারে, যা আপনার ওজন কমাতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
৪. ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল
রাতে ঘুমানোর আগে আপনি ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। এটি আপনার ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে।
সাধারণত জিমের পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে ল্যাকটিক অ্যাসিড বের হয়ে যায়। রাতে জিম করে তার পরে বা ঘুমানোর আগে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে তা ঘুমের সময় অতিরিক্ত ৪০০ ক্যালোরির মতো ক্যালোরি কমিয়ে দিতে পারে।
৫. গ্রিন টি
রাতে চা পান করার বিষয়টি শুনে হয়তো অবাক লাগতে পারে। কিন্তু রাতে ঘুমানোর আগে গ্রিন টি পান করলে তা আপনার বিপাককে বাড়িয়ে তুলতে পারে। আর এটি করলে আপনার ঘুমের সময় বেশি ক্যালোরি বার্ন হতে পারে।