চীন থেকে আরও ২ কোটি ৪ লাখ ৬০ হাজার ডোজ করোনার টিকা বাংলাদেশে এসেছে। এই চালানটি এসেছে বাংলাদেশ সরকার, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক ও ইউনিসেফের মধ্যে যৌথভাবে খরচ বহনের চুক্তির অংশ হিসেবে। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) ইউনিসেফের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউনিসেফ সরবরাহকৃত ১০ কোটি ডোজ টিকার মধ্যে ৫ কোটিরও বেশি টিকা সংগৃহীত হয়েছে কোভাক্স ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে। ইউনিসেফ দ্বারা সরবরাহকৃত এই ১০ কোটি ডোজ টিকার বাইরে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক টিকা সংগ্রহ করেছে।
টিকার এই চালান ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশের অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষকে কভিড টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যকে বেগবান করবে। চলতি বছরের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২৮.৪৪ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‘মহামারি থেকে পরিত্রাণের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল টিকা পাবার সমঅধিকার নিশ্চিত করা এবং বিশ্বব্যাপী টিকা দেওয়ার হার বাড়ানো। উৎপাদকদের কাছ থেকে টিকা সংগ্রহ করে সেটা বাংলাদেশের প্রতিটি কোণে পৌছে দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’