কমবেশি সবারই স্বপ্ন থাকে চুলকে ঘন কালো ও মসৃণ করে পাওয়া। কিন্তু এই স্বপ্নটা অনেকেরই অপূর্ণ থেকে যায়। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই তাদের চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন।
কিন্তু এ সমস্যার সমাধান পেতে পারেন অনেক পরিচিত ও খুব সাধারণ একটি উপাদানে। আপনি জেনে অবাক হবেন, খাওয়া ছাড়াও কাঁচা ডিম দিয়েই করে ফেলতে পারেন আপনার চুলের পরিচর্য়া। আর এর ফলে পাবেন ঘন কালো ও মসৃণ চুল। এ ছাড়া নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করবে এটি।
চুলের স্বাস্থ্য ভালো করতে, চুলকে প্রাকৃতিকভাবে ময়েশ্চারাইজ করতে এবং চুলকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে ডিম।
জেনে নিন চুলের যত্নে ডিমের উপকারিতা—
১. চুলের রুক্ষতা দূর করে
অনেক দিন ধরে ব্যবহার করা কোনো রাসায়নিক বা বাইরের ধুলোবালির কারণে অনেক সময় চুল হয়ে যায় রুক্ষ ও খুশকো। আর এটির সমাধানে ব্যবহার করতে পারেন ডিমের কুসুম। এতে থাকা প্রোটিন আপনার চুলের রুক্ষতা দূর করতে সহায়তা করবে।
২. চুল পড়া কমায়
চুল পড়া কমাতে ডিমের সাদা অংশ অনেক কার্যকরী। এর জন্য ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে দই মিশিয়ে সেটি মাথায় ভালো করে লাগাতে হবে। আধাঘণ্টা রেখে ধুয়ে নিলেই মিলবে সমাধান।
৩. চুল ঘন করে
ডিমের সাদা অংশ আপনার চুলকে ঘন করতেও অনেক কার্যকরী। এর সঙ্গে এক চা চামচ অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে সেটি চুলের গোড়ায় ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। এর পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এভাবে নিয়মিত করলেই মিলবে ঘন কালো চুল।
৪. চুল শক্তিশালী করে দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
ডিমের কুসুম আপনার চুলকে দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি চুলে ব্যবহার করার ফলে চুল হয়ে ওঠে আরও শক্তিশালী, আর এটি চুল পড়াকে রোধ করে চুলকে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে সহায়তা করে।
৫. চুল সিল্কি করে
চুলকে চকচকে ও সিল্ক করে তুলতে অনেক কার্যকরী হচ্ছে ডিম। ডিমের কুসুমের সঙ্গে এক কাপ দই ভালো করে মিশিয়ে প্যাক হিসেবে মাথায় ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেই পাবেন চকচকে ও সিল্কি চুল।
এ ছাড়া আপনার নিয়মিত খাবারে ডিম খেলেও পাবেন চুলের উপকার। এ জন্য প্রতিদিন সকালের নাস্তার সঙ্গে রাখতে পারেন ডিম। এটি আপনার শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন বি এবং ফোলেটের ঘাটতি মিটিয়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করবে। আর আপনার শরীরে যত বেশি পুষ্টি থাকবে আপনার চুলও ততই বেশি সুন্দর দেখাবে।