ট্যাক্সের আয়ের চেয়ে তামাকজনিত চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেশি সরকারের : ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ

0
212
Spread the love

তামাকখাত থেকে সরকার প্রতি বছর যে পরিমাণ ট্যাক্স পায় তার থেকে কয়েকগুণ বেশি তামাকজনিত চিকিৎসায় ব্যয় হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ।

তিনি বলেন, তামাকে ৭ হাজার কেমিক্যাল রয়েছে; যার মধ্যে নূন্যতম ৭-৮টি উপাদন সরাসরি ক্যানসারের জন্য দায়ী।
turboslot giriş
মঙ্গলবার সকালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে হাসপাতালের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসকদের অংশগ্রহণ: সফলতা ও ভবিষ্যত করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
yakabet güncel giriş
সেমিনারে ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘বিদ্যমান তামাক আইন সংশোধনের ব্যাপারে আমি নিজে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। তিনি আইন সংশোধনের ব্যাপারে আগ্রহী। আমি ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীকে তামাক আইন সংশোধনের ব্যাপারে আবারও বলবো।’

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভীর সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন মহাসচিব অধ্যাপক ফজিলা-তুন-নেসা মালিক। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী।

বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল বলেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় চিকিৎসকরা তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। দেশের মানুষদের তামাকের ভয়বহতা সম্পর্কে সচেতন করতে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সাথে কাজ করছে বিএমএ।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী বলেন, তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের কারণে দেশে অসংক্রামক রোগ যেমন- হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও শাসতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদী রোগ ইত্যাদি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে দেশে মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশই অসংক্রামক রোগের কারণে ঘটছে। আর এই অসংক্রামক রোগ সৃষ্টির অন্যতম কারণ ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার। তাই এই অকাল মৃত্যু ঠেকাতে অবিলম্বে বিদ্যমান আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

সেমিনারে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সিটিএফকে’র দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ডা. মাহিন মালিক, যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল টোব্যাকো ব্রাঞ্চের প্রধান ড. ইন্দু আহলুওয়ালিয়া, কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদ, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. তারেক মেহেদী পারভেজ, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি, সন্ধ্যানী, প্ল্যাটফর্ম অব ডেন্টাল এন্ড মেডিকেল সোসাইটির প্রতিনিধিসহ গণমাধ্যম কর্মীরা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে