ঠাণ্ডা-জ্বরে কী খাবেন?

0
339

সারাদিন ভ্যাপসা গরম। সন্ধ্যা হলে এক পশলা বৃষ্টি। এমন চিত্র গেল কদিনের। আর হঠ্যাৎ এই আবহাওয়া পরিবর্তনে জ্বর, সর্দি, কাশির কবলে পড়ছে অনেকে। সে থেকেই হচ্ছে বিভিন্ন ভাইরাল ইনফেকশন। তবে এই জ্বর, কাশি সারানোর বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় আছে।

আদা : আদা খুবই উপকারী একটি ঘরোয়া উপাদান। ঠাণ্ডা চিকিৎসায় আদার রস জাদুকরী ভূমিকা পালন করে। সর্দি কমাতে এক কাপ আদা সিদ্ধর রসে মধু মিশিয়ে খান। সাথে সাথেই ফল পাবেন। এ ছাড়া আদা দিয়ে রঙ চা বানিয়েও খেতে পারেন।

রসুন : রসুনের গুণাগুণ এককথায় বলে শেষ করা যাবে না। ভাইরাল ফিভার, ঠাণ্ডা লাগার মতো অসুখের প্রতিরোধ করতে রসুন খুব উপকারী। শুধু ঠাণ্ডা লাগাই নয়, উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরল, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক প্রতিরোধেও রসুন খুব কাজে দেয়। ৫ থেকে ৬ কোয়া রসুন থেঁতো করে নিন। তারপর সেটা শুধু খেতে পারেন কিংবা চাইলে স্যুপের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন।

দারুচিনি : গলা ব্যথা, ঠাণ্ডা লাগা, কফ সারাতে দারুচিনি খুবই উপকারী। এতে অ্যান্টি ফাংগাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান রয়েছে। ১ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ৩ দিন ২ থেকে ৩ বার খান।

তুলসী পাতা : জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথাসহ আরো আরো অনেক রোগের উপশমকারী উপাদান হিসেবে তুলসী পাতার রসের কথা আমরা জেনে এসেছি। এতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিবায়োটিক এবং আরও অনেক উপাদান রয়েছে। ৮ থেকে ১০টি তুলসী পাতা ভালো করে পানিতে ধুয়ে নিন। তারপর গরম পানিতে বেশ কিছুক্ষণ ধরে পাতাগুলো ফোটান। সেই ফোটানো পানি ১ কাপ করে রোজ খান।

ধনিয়া বীজ : বিভিন্ন রান্নায় আমরা ধনে বীজ প্রায়ই ব্যবহার করে থাকি। যেকোনো রান্নায় আলাদা স্বাদ যোগ করে এটি। শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ানোই নয়, ভাইরাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে এটি খুবই উপকারী। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতেও ধনিয়া বীজ সাহায্য করে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে