সহজ কিছু নিয়ম মানলে সহজ হতে পারে ডায়াবেটিস মোকাবেলা। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ
নিয়মিত শরীর চেক করুন
প্রতিদিন শাওয়ার নেওয়ার পর পুরো শরীর ভালোভাবে চেক করুন। কোথাও কোনো কাটাছেঁড়া আছে কি না? আঙুলের ফাঁকে আর্দ্রতা জমতে পারে, ছত্রাক হতে—পারে এসব জায়গা চেক করুন।
জুতা হোক আরামদায়ক
সহজে পা গলানো যায় এমন জুতা পরুন। খালি পায়ে ঘরের বাইরে যাবেন না। পা আহত করতে পারে এমন নুড়ি বা পাথরকুচি যেন জুতার ভেতর না থাকে। জুতা হোক আরামদায়ক।
প্রস্তুত রাখুন ইমার্জেন্সি স্ন্যাক প্যাক
বাইরে গেলে ব্যাগে রাখুন কয়েকটি গ্লুকোজ ট্যাবলেট। পাঁচ-ছয়টি শক্ত ক্যান্ডি। বাইরে সব সময় সঙ্গে নেবেন এসব। রক্তের গ্লুকোজ যদি নেমে যায়, ১০০ মিলিলিটার রক্তে ৭০ মিলিগ্রামের কম হয় তাহলে হতে পারে মাথা ঝিম ঝিম, গা-হাত-পা কাঁপা, তখুনি এসব খেতে হতে পারে।
ব্লাড গ্লুকোজ চেক করুন নিয়মিত
রোগ, রোগের অবস্থা, চিকিৎসা—এসব বিবেচনায় রক্তের গ্লুকোজ কতবার চেক করতে হবে তা বলে দেবেন ডাক্তার। যদি বলা হয়, সকালে ঘুম থেকে উঠেই মাপতে হবে তাহলে বিছানার পাশের টেবিলে রাখতে হবে গ্লুকোমিটার।
ব্যায়ামের আগে-পরে গ্লুকোজ মাপুন
জিমে ব্যায়ামের আগে আর পরে রক্তের গ্লুকোজ কত থাকে তা মেপে দেখলে ব্যায়ামের প্রভাব রক্তের গ্লুকোজের ওপর কেমন পড়ল তা বিবেচনা করা যায়। এতে রক্তে গ্লুকোজের বিপজ্জনক অবনতি এড়ানো সম্ভব।
ইনসুলিনের সঙ্গে অভ্যস্ত হোন
যদি খুব ব্যস্ত জীবন কাটান। সব সময় চলার ওপর আছেন। নিয়মিত খেতে পারেন না বেলার খাবার, তাহলে ডাক্তার সেভাবে ইনসুলিন দেন। দিতে পারেন রেপিড অ্যাক্টিং ইনসুলিন বা ইনসুলিন পাম্প, যা দ্রুত কার্যকর ইনসুলিন। ইনসুলিনের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
ব্যায়াম করুন
দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। খুব ব্যস্ত থাকলে ১০ মিনিট করে করে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। ব্যায়ামের পরিবর্তে পরিবারের সঙ্গে খেলাধুলাও করতে পারেন। বিকেলে হাঁটুন সঙ্গীর সঙ্গে।