ডাঃ এম. ইয়াছিন আলী
“ডায়াবেটিস’ বর্তমানে মহামারী আকার ধারণ করছে যার ফলে বর্তমান বাংলাদেশে এমন কোন পরিবার নেই, যে পরিবারে এক বা একাধিক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি নেই।
অতএব ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র এমন একটি রোগ যে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে রোগীর কোন অসুবিধা নেই, কিন্তু যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার অন্যতম মূলমন্ত্র হচ্ছে ব্যায়াম। আর ব্যায়াম করতে না পারলে শুধুমাত্র ঔষধে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিণ করা সম্ভব নয়। আমাদের দেশে বয়স্ক ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যাই বেশী, তাই যারা ডায়াবেটিসের পাশাপাশি বিভিন্ন রকম হাড়ের ক্ষয় জনিত ব্যাথা যেমন-হাঁটু ব্যাথা, কোমর ব্যাথা, ঘাড় ব্যাথা বা কাঁধে ব্যাথায় ভুগছেন, তাদের বেশীর ভাগই সঠিক ভাবে ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম করতে পারেন না। যার ফলে ঔষধ বা ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, যার ফলে ক্রমান্বয়ে ঔষধ শরীরে রেসিস্ট্যান্স হয়ে যায়। আর ব্যাথা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যাথানাশক ঔষধ খেতে হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যাথানাশক ঔষধ খাওয়া ঠিক নয়।
ব্যাথানাশক ঔষধের কারণে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যেমন- লিভার, কিডনি ইত্যাদির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই ডায়াবেটিক রোগীর ব্যথা-বেদনায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা সম্পুর্ণ পার্শ্বপ্রক্রিয়াহীন নিরাপদ চিকিৎসা। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসর রোগীর সমস্যা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ইলেক্ট্রো-থেরাপিউটিক এজেন্ট, থেরাপিউক এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম। বিভিন্ন ধরনের ম্যানুয়াল থেরাপি বা ম্যানুপুলেন থেরাপির মাধ্যমে ব্যাথা কমাতে সাহায্য করেন। যার ফলে ডায়বেটিক রোগী আবারও ফিজিক্যাল এক্সরসাইজ বা ব্যায়াম গুলি করতে পারেন এবং ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হন।
লেখকঃ
ডাঃ এম. ইয়াছিন আলী
চেয়ারম্যান ও চীফ কনসালটেন্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসাপাতাল
বাড়ী নং-১২/১, রোড নং-৪/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা। মোবাইলঃ ০১৭৮৭-১০৬৭০২
[…] পায়ের জয়েন্টে ব্যথা হলে সাহায্য নিতে পারেন আদার তেলের। […]