সেলফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ বা পিসির মতো ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। পিসি বা ল্যাপটপে অনেকক্ষণ ধরে নিয়মিত কাজ করলে চোখের যে ধরনের সমস্যা হয়, তাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম বা সিভিএস। তবে একটু সতর্ক থাকলে জটিলতা এড়ানো যায়।
ব্যায়াম
♦ ৩০ মিনিট কম্পিউটারে কাজ করার পর অন্যদিকে ফিরে কিছুটা দূরে তাকিয়ে থাকুন। সম্ভব হলে জানালা দিয়ে ঘরের বাইরে সবুজ কোনো দৃশ্য উপভোগ করুন। এভাবে চোখের বিভিন্ন ফোকাসিংয়ের ফলে মাংসপেশির ব্যায়াম হয়, যা চোখের জন্য উপকারী।
♦ চোখ ওপরে-নিচে এবং ডান পাশ থেকে বাঁ পাশে ঘোরান। এরপর ধীরে ধীরে ‘৪’-এর মতো করে চোখ ঘোরান।
♦ চোখ নমনীয় করতে বুড়ো আঙুল চোখের সামনে ধরুন এবং আঙুলের দিকে দৃষ্টি দিন। এরপর চোখের দৃষ্টি সরিয়ে অন্তত ২০ কদম দূরে আছে এমন কোনো বস্তুর দিকে তাকান। একসঙ্গে কাছের এবং দূরের বস্তুর দিকে এভাবে তাকালে চোখে শক্তির সঞ্চার হয়। এই ব্যায়াম ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিণত করলে চোখের ঝাপসা ভাবের অনুভূতিও দূর হবে।
নিয়মিত চোখ পরীক্ষা
যাঁরা স্ক্রিনে বেশিক্ষণ সময় কাটান বা কাজ করেন, তাঁদের উচিত প্রতিবছর অন্তত একবার চোখ পরীক্ষা করানো। তবে চোখের কোনো পাওয়ার থাকলে অবশ্যই চশমা ব্যবহার করতে হবে। কোনো শিশুর জন্মগত চোখের সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কম্পিউটার ব্যবহার করতে দিন।
খাবারদাবার
চোখ ভালো রাখতে টাটকা সবুজ শাকসবজি, হলুদ ফলমূল, ছোট মাছ ইত্যাদি বেশি খান। পালংশাক, বাঁধাকপি, গাজর, মিষ্টিকুমড়া, পেঁপে, ডালিম, স্ট্রবেরি ইত্যাদি খান। রঙিন শাকসবজি ও ফলমূলে ভিটামিন ‘এ’ এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকে, যা চোখ ভালো রাখতে সহায়ক।
সতর্কতা
অন্ধকারে মোবাইল ফোনসেট, ল্যাপটপ, পিসি বা টিভি ব্যবহার করলে এর নীল আলো সরাসরি চোখের ওপর পড়তে থাকে। ফলে রেটিনার কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে চলতে থাকলে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা থাকে। চোখের ওপর চাপ কমাতে কম্পিউটারের স্ক্রিনের উপরিভাগ চোখের সমান্তরালে স্থাপন করা উচিত। চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে স্ক্রিনের আলো স্ক্রিনের আশপাশের আলোর মতো উজ্জ্বল হওয়া উচিত।
মায়ো ক্লিনিক অবলম্বনে দাওয়াই ডেস্ক