ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ২০৮

0
281
dengue virus
Spread the love

দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২০৮ জন এবং মারা গেছেন তিনজন। এ নিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি মোট ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা ৮০৬ এবং মোট মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ জনে।

এর আগে গত শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছিল। ওইদিন আক্রান্ত হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ২৪৫ জন। এছাড়া গতকাল রোববার এডিশ মশাবাহিত এ ভাইরাসটিতে কারও মৃত্যু না হলেও নতুন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন ২১৩ জন।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার একই সময়ের মধ্যে সারাদেশে নতুন করে আরও ২০৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ১৫৭ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঢাকার বাইরে চিকিৎসাধীন ৫১ জন।

বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৮০৬ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬৭৪ জন। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৩২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরে ১ জানুয়ারি থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৭ হাজার ১১৩ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬ হাজার ২৮১ জন।

এসময়ে ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ৮২৪ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫ হাজার ১৩৯ জন। ঢাকার বাহিরে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ২৮৯ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ১৪২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এ নিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৬ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ডেঙ্গুতে বছরের প্রথম মৃত্যুর খবর আসে গত ২১ জুন।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জন মারা গিয়েছিল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে