ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কক্সবাজারে সবচেয়ে বেশি। ঢাকার বাইরে জেলার মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যাও কক্সবাজারে বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আহমেদুল কবির এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ক্রমেই ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। করোনা প্রতিরোধের সময় আমরা অচেনা শত্রুর সঙ্গে লড়াই করেছি। কিন্তু ডেঙ্গু আমাদের চেনা শত্রু। সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব’।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সারা দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ড. আহমেদুল কবির।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু সংক্রান্ত প্রেজেন্টেশনে বলা হয়, ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২২ হাজার ৫১৭ জন। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় চলতি বছরের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার ৭৬২ জন। ঢাকার বাইরে ৫ হাজার ৭৭৫ জন। ঢাকার পর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কক্সবাজারে সবচেয়ে বেশি, ১ হাজার ৩৬৮ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪৭ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৪১৫ জন। ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, ‘ডেঙ্গুবিরোধী সচেতনতামূলক কর্মসূচির পাশাপাশি প্রশিক্ষণ চলছে। চিকিৎসার পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। নগরায়নের কারণে সারা বিশ্বেই ডেঙ্গু আছে। এটি একেবারেই বিদায় নেবে না। তবে প্রতিরোধ সম্ভব’।
তিনি আরও জানান, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারি হাসপাতালগুলোর সাথে বৈঠক হয়েছে। রোগী ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে যাতে দক্ষ জনবল প্রস্তুত রাখা সম্ভব হয়। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে নিয়ে বৈঠক করা হবে। তারা যাতে নির্দেশনা মেনে রোগী ভর্তি করে এবং রোগীদের যাতে হয়রানি না করা হয়’।